- Home
- World News
- United States
- হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্প-মামদানি সাক্ষাত, নিউইয়র্কের মেয়রকে দেখে আপ্লুত মার্কিন প্রেসিডেন্ট
হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্প-মামদানি সাক্ষাত, নিউইয়র্কের মেয়রকে দেখে আপ্লুত মার্কিন প্রেসিডেন্ট
Trump On Zohran Mamdani: বিতর্ক-মন কষাকষি অতীত। নিউইয়র্কের সদ্য নির্বাচিত ভারতীয় বংশোদ্ভূত মেয়র জোহরান মামদানির সঙ্গে বৈঠকের পর তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জানুন আরও বিস্তারিত…

মামদানি-ডোনাল্ড ট্রাম্প বৈঠক
শুক্রবার হোয়াইট হাউসে নিউইয়র্কের সদ্য নির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানির সঙ্গে একান্তে বৈঠক সারলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও গত কয়েক মাসে জোহরানের উদ্দেশে তীব্র কটাক্ষ ও কড়া, কড়া আক্রমণ শানিয়ে ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে শুক্রবারের বৈঠকে ছাপ পড়ল না সেই সব পুরনো কথার। এ যেন রাগ একেবারে গলে জল।
বৈঠক নিয়ে কী বললেন ট্রাম্প
জানা গিয়েছে, শুক্রবার ওভাল অফিসে দুই নেতার মধ্যে দীর্ক্ষণ বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ট্রাম্প জানান যে, বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, এরপরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট হেসে বলেও ফেললেন তাঁকে উদ্দেশ্য করে মামদানির করা ‘ফ্যাসিস্ট’ মন্তব্যে তাঁর ‘আপত্তি’ নেই। কারণ, এর চেয়েও অনেক ‘অপমানজনক’ শব্দ তাঁকে শুনতে হয়েছে। তাই এই মন্তব্য এমন কিছুই নয়।
বৈঠক নিয়ে কী বললেন মামদানি
এদিন হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে করা দুই নেতার বৈঠক যে দুর্দান্ত হয়েছে তা তাদের মুখের ভাষাতেই স্পষ্ট। কারণ, ট্রাম্প এবং জোহরান মামদানি যখন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তখন তাদের মুখে ছিলো না কোনও বিরক্তির ছাপ। বরং মামদানির করা ‘স্বৈরাচারী’ মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ট্রাম্প হেসে জবাব দেন ঠিক আছে। এর থেকেও অনেক কঠিন কঠিন কথা তাকে শুনতে হয়। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সহাস্য মামদানিও একই জবাব দেন। বলেন- ‘হ্যাঁ ঠিক আছে।’
ট্রাম্পের মুখে মামদানির প্রশংসা
শুক্রবার নিউইয়র্কের মেয়র জোহরান মামদানি হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করতেই তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন যে, ‘’তিনি যত ভাল করবেন, আমি ততই খুশি হব। আমাদের মধ্যে একটা মিল রয়েছে। আমরা চাই আমাদের ভালবাসার শহরের ভালো হোক।''
মামদানিতে নমনীয় ট্রাম্প
শুধু তাই নয়, মামদানির প্রশংসার পাশাপাশি তার মুখের ভাষা নিয়েও জোহরানকে আরও সতর্ক হওয়ার বার্তা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এমনকি এই বৈঠককে ফলপ্রসূ হয়েছে বলে দাবি করেছেন নব নির্বাচিত মেয়রও। তিনি জানান, এ দিনের বৈঠকের অন্যতম বিষয় ছিল, স্থানীয় বাসিন্দাদের উপরে অর্থনৈতিক চাপ। ভাড়া, ভূষিমাল-সহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য সাশ্রয় করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

