সংক্ষিপ্ত
Trump News: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক ঘোষণার দু'দিন পরেই মার্কিন অর্থনৈতিক সংস্থা জেপি মর্গ্যানের পূর্বাভাস, চলতি বছরের শেষেই দেশের অর্থনীতি মন্দায় ডুবে যাবে। বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ প্রতিবেদন পড়ুন…
Trump News: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক ঘোষণার দু'দিন পরেই মার্কিন অর্থনৈতিক সংস্থা জেপি মর্গ্যানের পূর্বাভাস, চলতি বছরের শেষেই দেশের অর্থনীতি মন্দায় ডুবে যাবে। যা মূলত আমেরিকার অর্থনীতির কাছে এক বিশাল অশনি সঙ্কেত! শুক্রবার সন্ধ্যায় বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে প্রকাশিত এক চিঠিতে জেপি মর্গ্যানের প্রধান মার্কিন অর্থনীতিবিদ মাইকেল ফেরোলির জানান, এই শুল্ক নীতি ঘোষণার ফলে দেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন (গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্টস বা জিডিপি) সংকুচিত হবে বলে মনে করছেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য হিল-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফেরোলি আরও জানিয়েছেন, ''শুল্কের চাপে আমাদের জিডিপি সঙ্কুচিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছি। গত বছর আমাদের জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ১.৩ শতাংশ। চলতি বছরে আমরা ০.৩ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি আশা করছি না। যা আগের বছরের তুলনায় বেশ খানিকটা কম।" পাশাপাশি তিনি এও আশঙ্কা করছেন, এই মন্দার ফলে বেকারত্বের হার ৫.৩ শতাংশে পৌঁছতে পারে ।
জানা গিয়েছে, আগামী ৯ এপ্রিল থেকে সেই শুল্ক কার্যকর হবে। গত ২ এপ্রিল ট্রাম্প অনেক দেশের উপর পারস্পরিক শুল্ক আরোপের ঘোষণা করার পরেই এই পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলও এই নতুন শুল্কের সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে বিশেষ উদ্বেগ প্রকাশ করেন। শুক্রবার একটি ব্যবসায়িক সম্মেলনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, 'নতুন শুল্ক আগের চেয়ে অনেক বেশি ক্ষতি এবং অর্থনৈতিক সম্ভাব্য ক্ষতি করবে।' পাশাপাশি তিনি আরও জানিয়েছেন, এই ঘোষণার ফলে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ফেডারেল রিজার্ভের প্রচেষ্টাকে আরও কঠিন হয়ে উঠতে পারে।
উল্লেখ্য, বুধবার ট্রাম্পের ভারত-সহ বিশ্বজুড়ে মার্কিন বাণিজ্য অংশীদারদের উপর বড় ধরনের শুল্ক আরোপের ঘোষণার পর মার্কিন শেয়ার বাজারে এস অ্যান্ড পি ৫০০ সূচকে গত ১১ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পতন হয়েছে। সপ্তাহের শেষের দিকে মাত্র দুটি ট্রেডিং সেশনে ৫.৪ ট্রিলিয়ন ডলার মুছে গিয়েছে বাজার থেকে।
ট্রাম্পের শুল্ক নীতি অনুসারে, ৫ এপ্রিল থেকে সমস্ত দেশ থেকে আমদানিতে ১০ শতাংশ শুল্ক প্রযোজ্য হবে। এছাড়াও, ৯ এপ্রিল থেকে, আমেরিকার সঙ্গে সবচেয়ে বেশি বাণিজ্য ঘাটতিযুক্ত দেশগুলিকে উচ্চতর শুল্কের মুখোমুখি হতে হবে।বলাইবাহুল্য ভারত ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলির মধ্যে একটি। সমস্ত রফতানির উপর ২৬ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও, বিশ্বব্যাপী ব্রোকারেজ ফার্ম জেফরিস ভারতের উপর প্রভাব সম্পর্কে যথেষ্ট ইতিবাচক। সংস্থাটি উল্লেখ করেছে, তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) পরিষেবা, ওষুধ এবং অটোমোবাইলের মতো গুরুত্বপূর্ণ ভারতীয় রফতানি ক্ষেত্রগুলি নতুন শুল্ক দ্বারা সরাসরি প্রভাবিত হবে না।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।