সংক্ষিপ্ত

  • চিন নিয়ে ভিকে সিং-এর মন্তব্যই চিনের হাতিয়ার 
  • সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতার কথা বলছে চিন 
  • কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মন্তব্য অযাচিত স্বীকারোক্ত বলে দাবি 
  • সীমান্ত নিয়ে মন্তব্য করেন ভিকে সিং 

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভিকে সিং-এর মন্তব্যকেই হাতিয়ার বানাল চিন। চিন ভারতের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ সীমা লঙ্ঘনের বিষয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বক্তব্যকে অযাচিত স্বীকারোক্তি বলে অভিহিত করেছে। চিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেছেন, যে চিন-ভারত সীমান্ত উত্তেজনার মূল কারণ ছিল ভারতের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ সীমারেখা লঙ্ঘন। 

ভিকে সিং-এর বক্তব্য
রবিবার মাদুরাইতে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে ভিকে সিং বলেনভারত চিনের থেকে বেশিবার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ সীমারেখা অতিক্রম করেছে। কিন্তু সরকার এটি প্রকাশ্যে ঘোষণা করে না।তিনি আরও বলেন চিনারা যদি ১০ বার সীমান্ত লঙ্ঘন করে তাহলে আমাদের এটি ৫০ বার করা উচিৎ। তিনি আরও বলেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ সীমারেখা নিয়ে চিন কয়েক বছর ধরে বহুবার সীমান্তে সীমাবদ্ধতা তৈরি করেছে। কিন্তু আপনারা জানেন না ভারত কতবার সীমান্ত অতিক্রম করেছে। কারণ চিনা গণমাধ্যমে এটি প্রচার করে না। তিনি আরও বলেন চিনের সঙ্গে ভারতের সীমানা কখনই নির্দিষ্ট করা হয়নি। দুটি দেশই ডি-পেরো সীমান্ত সম্পর্কে ভিন্ন মত পোষণ করে। 

চাপ বাড়ছে চিনের 
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভিকে সিং জানিয়েছেন, ২০২০ সালে চিন যখন পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করেছিল তখন ভারত সমান ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল। সেই সময় পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে ছিল। তিনি বলেন ধীরে ধীরে চাপ বাড়ছে চিনের ওপর। কারণ সীমান্তে ভারত এমন জায়গায় রয়েছে যা কিছুতেই পছন্দ করছে না। চিন বুঝতে পেরেছে ভারতের ওপর আঘাত করা খুব একটা সহজ নয়। 


চিনের মন্তব্য 
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করেই আসরে নেমে পড়েছে চিন। চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়েনবিন জানিয়েছেন, এটি ভারতের পক্ষে একটি অযাচিত স্বীকারোক্তি। দীর্ঘ দিন ধরেই ভারতীয় পক্ষ সীমান্তবর্তী অঞ্চলে চিন সীমান্ত দখলের চেষ্টা করছে। প্রতিনিয়ত বিরোধ ও বিবাদের সৃষ্টি করে। যা চিন ভারত সীমান্তে উত্তেজনার মূল কারণ হিসেবে প্রতিপন্ন হয়েছে। এরপরই তিনি বলেন চিন ভারতের সঙ্গে আলোচনা করছে। চুক্তিগুলি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছে।