সংক্ষিপ্ত
রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে এই মুহূর্তে বিশ্বের অধিকাংশ দেশের কাছেই পুতিন এখন খলনায়ক হয়ে উঠেছেন। বিশ্বের দরবারেও অনেকটাই কোণঠাসা হয়ে গিয়েছে রাশিয়া। রুশ সেনার যুদ্ধনীতির সমালোচনায় সরব একাধিক দেশ। বিশ্বের একাধিক শক্তিশালী দেশই তাঁকে যুদ্ধ বন্ধ করার পরামর্শ দিয়েছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Russian President Vladimir Putin) বয়স যে খুব কম তা একেবারেই নয়। ৬৯ বছর। কিন্তু, শরীরে সেই বয়সের ছাপ (Fit Body) একেবারেই পড়তে দেননি তিনি। এক ঝলকে দেখে বোঝার উপায় নেই যে তাঁর বয়স এতটা বেশি হয়ে গিয়েছে। কারণ সুঠাম শরীরে চোখে-মুখে বলিরেখার চিহ্নমাত্র নেই। তাঁর এই মারকাটারি চেহারা এতদিন অনেকের কাছেই আশ্চর্যের বিষয় ছিল। কারণ অনেকেই ভাবতেন যে কীভাবে এই চেহারা তিনি ধরে রাখেন। তবে এবার আর হয়তো এই চেহারা দেখা যাবে না। এবার সম্ভবত বুড়িয়ে যেতে পারেন তিনি। সৌজন্যে ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ (Ukraine Russia Crisis) পরিস্থিতি। তার জেরেই আর বয়স ধরে রাখা তাঁর পক্ষে কোনওভাবেই সম্ভব হবে না।
রাশিয়া (Russia) ইউক্রেন (Ukraine War) যুদ্ধ নিয়ে এই মুহূর্তে বিশ্বের অধিকাংশ দেশের কাছেই পুতিন এখন খলনায়ক হয়ে উঠেছেন। বিশ্বের দরবারেও অনেকটাই কোণঠাসা হয়ে গিয়েছে রাশিয়া। রুশ সেনার (Russian Army) যুদ্ধনীতির সমালোচনায় সরব একাধিক দেশ। বিশ্বের একাধিক শক্তিশালী দেশই তাঁকে যুদ্ধ বন্ধ করার পরামর্শ দিয়েছে। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত ইউক্রেনে যুদ্ধ জারি রেখেছেন তিনি। এরই মধ্যে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা (Pharmaceutical Companies) জানিয়েছে তারা আর রাশিয়ায় ওষুধ সরবরাহ করবে না। তারপর থেকেই পুতিনকে নিয়ে বাড়ছে চিন্তা। কারণ অনেকের মতে এর ফলে সব থেকে বেশি ক্ষতি হবে পুতিনেরই। আসলে নিজের যৌবন ধরে রাখার জন্য মুখে যাতে কোনওভাবেই বলিরেখা না পড়ে সেই কারণে বোটক্স ট্রিটমেন্ট (Botox Treatment) করাতেন পুতিন। এই ওষুধ সরবরাহ বন্ধ হওয়াতে আর সেই চিকিৎসা করাতে পারবেন না তিনি। সেই কারণে এবার ধীরে ধীরে তিনি বুড়িয়ে যেতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- ভ্লাদিমির পুতিনের রহস্যময় প্রেম জীবন - গোপন প্রেমের সন্তানের সংখ্যাই ৫, নিখোঁজ উপপত্নী
শীঘ্রই ৭০-এর ঘরে পা রাখবেন রুশ প্রেসিডেন্ট। কিন্তু, এখনও তিনি একেবারে এভারগ্রিন। গায়ে রং যেমন ফেটে পড়ছে তেমনই মুখে বলিরেখার চিহ্ন মাত্র নেই। এখনও পর্যন্ত টানটান হয়ে রয়েছে চেহারা। সোনালি চুল, তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে আজও পুতিন ঝড় তোলেন বহু তরুণী হৃদয়ে। আর তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও বেশ চর্চা হয়েছে। এখনও যথেষ্ট চর্চিত তিনি। আর যাতে বয়স ধরে রাখতে পারেন তার জন্য বেশ ভালো টাকাই খরচ করতেন তিনি। বোটক্স ট্রিটমেন্ট করাতেন। তার জন্যই ৭০-এর থেকে একঘর দূরে দাঁড়িয়েও নিজের গ্ল্যামার ধরে রেখেছিলেন তিনি। এদিকে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের একাংশ দাবি, ২০১১ সালে পুতিন কিয়েভে ( Kyiv) গিয়েছিলেন। তখন নাকি তাঁর গ্ল্যামার এতটা বেশি ছিল না। সেই সময় তাঁর চোখের তলায় ছিল বলিরেখা। কিন্তু, রাতারাতিই তাঁর চেহারার জেল্লা ফেরত আসে। তারপরই তাঁর বোটক্স করানোর নিয়ে তোলপাড় হতে শুরু করে। আসলে বোটক্স ট্রিটমেন্ট হল ইনজেকশনের মাধ্যমে চোখের তলায় বলিরেখা ও ছোপ দূর করা। নিজের চেহারা ধরে রাখার জন্য সেটাই করতেন পুতিন।
আরও পড়ুন- রাশিয়া থেকে তেল আমদানির পথে ভারত, উস্কে দিল আন্তর্জাতিক বিতর্ক
এদিকে আবার ইউক্রেনে হামলা চালানোর জন্য এখন অনেকটাই কোণঠাসা হয়ে গিয়েছে রাশিয়া। এই পরিস্থিতি বহু ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাই রাশিয়াতে ওষুধ সরবরাহ করতে চাইছে না। এমনকী, বোটক্স প্রস্তুতকারক অ্যাবিভি ইঙ্গও রাশিয়াতে কোনও জটিল রোগের ওষুধ ছাড়া আর কোনও ওষুধ সরবরাহ করবে না বলে জানিয়েছে। ফলে এখন থেকে আর বোটক্স ট্রিটমেন্ট করতে পারবেন না পুতিন। ফলে এবার এই যুদ্ধের জন্যই তাঁর কপালে 'বার্ধক্যের ছাপ' পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।