সংক্ষিপ্ত

হামাস জঙ্গিরা ওই তরুণীর দুটি স্তন কেটে দেয়। তারপর সবাই মিলে তাঁর ওপর গণধর্ষণ চালাতে থাকে। সম্পূর্ণ ঘটনার সময় রক্তাক্ত অবস্থায় কাতরাতে থাকেন ওই তরুণী।

৭ অক্টোবর ইজরায়েলে অচমকা হামলা করেছিল প্যালেস্টাইনের হামাস জঙ্গিরা (Hamas Terrorists)। দক্ষিণ ইজরায়েলে আয়োজিত একটি আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গীত উৎসবে প্রথম হামলা করা হয়। সেই হামলায় শুধু একের পর এক মানুষকে নির্বিচারে গুলি করে হত্যাই করা হয়নি, সেখানে উপস্থিত নারীদের ওপর পাশবিক যৌন নির্যাতন চালিয়েছিল ধ্বংসকারী হামাস বাহিনী। সম্প্রতি সেই তথ্যই উঠে এল আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থার হাতে। 

-

গণধর্ষণ করা থেকে শুরু করে মানুষের দেহ বিকৃত করে দেওয়া পর্যন্ত, নির্মম অত্যাচারের বর্ণনা দিয়েছেন বহু প্রতক্ষ্যদর্শী। তার মধ্যে এক মহিলা ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, ৭ অক্টোবর, আক্রমণের প্রথম দিন এক তরুণীর অবস্থা দেখে হাড় হিম হয়ে গিয়েছিল তাঁর। তিনি জানিয়েছেন যে, হামাস জঙ্গিরা ওই তরুণীর দুটি স্তন কেটে দেয়। তারপর সবাই মিলে তাঁর ওপর গণধর্ষণ চালাতে থাকে। একসময় তাঁর স্তনের মাংসপিণ্ডটি খসে পড়ে। তখন সেই মাংসপিন্ড নিয়ে বলের মতো লোফালুফি করতে থাকে হামাস সন্ত্রাসীরা। সম্পূর্ণ ঘটনার সময় রক্তাক্ত অবস্থায় কাতরাতে থাকেন ওই তরুণী, আর অট্টহাসি হাসতে থাকে জঙ্গিদের দল।

-

ইজরায়েলের (Israel) সিনিয়র পুলিশ অফিসার শেলি হারুশ বলেছেন যে, তদন্তকারীরা সাক্ষী, চিকিৎসক এবং প্যাথলজিস্টদের কাছ থেকে "দেড় হাজারেরও বেশি হতবাক করে দেওয়ার মতো নির্মম ঘটনার সাক্ষ্য" সংগ্রহ করেছেন। মেয়েদের ‘কোমরের ওপর এবং নীচ খালি করে দেওয়া হচ্ছিল।’ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ‘জননাঙ্গ, পেট, পা এবং নিতম্বে’ ক্রমাগত আঘাত করা হচ্ছিল। অনেকেরই ‘স্তন কেটে ফেলা’ হচ্ছিল। 
 

হামাসের হামলার বিষয়ে লিঙ্গ-ভিত্তিক হিংস্রতার প্রসঙ্গে একটি তদন্ত কমিশন গঠিত হয়, তার প্রধান কোচাভ এলকায়াম-লেভি নভেম্বরে বলেছেন, ‘৭ অক্টোবর ধর্ষণ এবং অন্যান্য যৌন হামলার শিকার হওয়া মানুষদের বেশিরভাগই মারা গিয়েছেন। তাঁরা আর কখনওই সাক্ষ্য দিতে পারবেন না।’