সংক্ষিপ্ত

২০২৩ সালের ছবিটা আলাদা। একেবারেই অচেনা। এ বছর প্রভু যিশুর জন্মদিনে তাঁর জন্মস্থানেই থাকছে না কোনও গাছ, কোনও প্যারেড, আনন্দ-সঙ্গীত, থাকছে না আলোর রোশনাই।

প্রত্যেক বছর বড়দিনের সময় (Christmas) প্যালেস্টাইনের বেথলেহেম শহরে এসে জড়ো হন সারা বিশ্বের অগুন্তি মানুষ। বিখ্যাত এই ধর্মীয় শহরের গির্জার ছাদটি ভরে যায় সারা বিশ্বের ক্যামেরাওয়ালা মানুষদের ভিড়ে, প্রত্যেকেই চান ম্যাঙ্গার স্কোয়ারের বিশাল গাছটির ছবি তুলতে, যখন চার্চ অফ দ্য নেটিভিটিতে মধ্যরাতের গণসংযোগের ঘণ্টা বেজে ওঠে। ঐতিহ্য অনুসারে, এই শহরেই জন্ম নিয়েছিলেন খ্রিষ্ট ধর্মের প্রচারক প্রভু যিশু। 

-

২০২৩ সালের ছবিটা আলাদা। একেবারেই অচেনা। এ বছর প্রভু যিশুর জন্মদিনে তাঁর জন্মস্থানেই থাকছে না কোনও গাছ, কোনও প্যারেড, আনন্দ-সঙ্গীত, থাকছে না আলোর রোশনাই। বাজারহাট, ভোজ, ক্যারোল, সান্তাক্লজের লজেন্স কিংবা মিষ্টি বিতরণও এবছর বিলীন। কারণ, দেশ জুড়ে এখন শুধুই যুদ্ধের হাওয়া। গির্জার অন্দরে সদ্য জন্ম নেওয়া যীশুর মূর্তি স্থাপিত হয়েছে ধ্বংসস্তূপের ওপরে।  কোন তীর্থযাত্রী বা পর্যটকের আনাগোনাও নেই শহরে।

-

ইজরায়েল বনাম প্যালেস্টাইনের যুদ্ধে একেবারে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা ভূখণ্ড। দিকে দিকে অগুন্তি শিশুর প্রাণহানি ঘটেছে। আশ্রয় পাওয়া তো দূরের কথা, নিত্যদিনের জল খাদ্য বস্ত্রের জোগানও প্রায় সঙ্গিন। হামাস জঙ্গিদের প্রথম আক্রমণের কারণে ইজরায়েলের ‘টার্গেট’ হয়ে পড়েছেন গাজার নিরীহ মুসলমান মানুষরা। তাঁদের সমর্থন করে এবছর বড়দিনে বেথলেহেমে নীরব মিছিল বের করলেন খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষজন। বৃষ্টিভেজা রাস্তায় শান্তির দাবিতে পথে নামল ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা।