সংক্ষিপ্ত

জার্মান নারী অধিকার সংস্থা টেরে দেস ফেমেস মূর্তিগুলিতে যৌন হেনস্থা থেকে রক্ষা করার জন্য আন্দোলন শুরু করেছিল। সংস্থার পক্ষ থেকে গোটা ঘটনাকে হিংসা বলেও দাবি করা হয়েছিল।

 

যৌন হয়রানির চিহ্ন ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে জার্মানির তিনটি নারী মূর্তির শরীরে। যদিও আগে থেকেই সেগুলির নিরাপত্তা সম্পর্কে সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছিল। কারণ, 'যৌন হয়রানি একটি চিহ্ন রেখে যায়'- এমন স্লোগান দিয়ে একটা সাদা প্ল্যাকার্ড তিনটি জার্মান শহরে নগ্ন তিনটি ব্রোঞ্জের মুর্তির পিছনে রাখা হয়েছিল। কিন্তু তারপরেই মূর্তির ওপর যৌন নির্যাতন আটকাতে পারেনি প্রশাসন। ঘন ঘন স্পষ্ট হালকা বাস ফিকে হয়ে গিয়েছে স্তনের অংশবিশেষ।

জার্মান নারী অধিকার সংস্থা টেরে দেস ফেমেস মূর্তিগুলিতে যৌন হেনস্থা থেকে রক্ষা করার জন্য আন্দোলন শুরু করেছিল। সংস্থার পক্ষ থেকে গোটা ঘটনাকে হিংসা বলেও দাবি করা হয়েছিল। সংস্থার মতে তিন জনের মধ্যে দুই নারী কোনও না কোনও সময় যৌন হেনস্থার শিকার হয়। সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যৈন হয়রানির এমন একটি সমস্যা যা প্রায়ই তুচ্ছ বা উপেক্ষা করা হয়। টেরে দেস ফেমেসের সিনা টঙ্ক একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, 'আমাদের অবশ্যই এই বিষয় নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে হবে, যাতে নির্যাতিতদের কণ্ঠশ্বর শোনা যায় ও অপরাধীদের জবাবদিহির চাওয়া যায়।'

যৌন হেনস্থা নিয়ে পোস্টার-

যৌন হেনস্থার পোস্টার লাগান হয়েছিল মিউনিখের মেরিয়েনপ্ল্যাটজে জুলিয়েট ক্যাপুলেট মূর্তির পিছনে। ব্রেমেনের হোয়টগারহফের যুব মূর্তির পিছনে আর মধ্য বার্নিলেন নেপচুন ধর্নার অংশ ফাই রেইল মূর্তির সামনে। সংস্থার পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে অনুমতি সংক্রান্ত সমস্যার কারণে শুক্রবারই বিকেলেই তাদের পোস্টারগুলি সরিয়ে ফেলতে হয়।

কিন্তু পোস্টার দিয়েও কোন কাজ হয়নি। কারণ যে ছবি তোলা হয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে নগ্ন নারী মূর্তির স্তনগুলি মূর্তির বাকি অংশের তুলনায় অনেক বেশি হালকা রঙের। মূর্তিগুলি সাধারণত কালো রঙের। সেখানে ব্রোঞ্জ স্তনের অংশ ব্রোঞ্জের সোনালি রঙ বেরিয়ে গেছে। যাতে স্পষ্ট হচ্ছে মূর্তিগুলির ওই অংশ প্রায়ই স্পর্শ করা হয়েছে। সংস্থার দাবি পথচারীদের হাতে প্রায়ই যৌন হয়রানির শিকার হতে হয় এই মূর্তিগুলিকে। এই সংস্থাটি প্রায় ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মেয়েদের ওপর হওয়া যৌন অত্যাচার, মানবাধিকার লঙ্ঘন, নারী বৈষম্যের মত বিষয়গুলি নিয়ে লড়াই করছে। মহিলাদের অধিকারের জন্য এই সংস্থা সর্বদাই সরব।