সংক্ষিপ্ত
ভাসমান পরমাণু কেন্দ্র মূলত রাশিয়ারই মস্তিষ্কপ্রসূত। এখনও পর্যন্ত শুধুমাত্র রাশিয়াই এটি তৈরির কলাকৌশল জানেন। এবার রাশিয়ার সাথে হাত মিলিয়ে জলে এবং স্থলে দুই জায়গাতেই পরমাণু চুল্লি গড়ে তুলতে চলেছে ভারত।
রাশিয়ার ভাসমান পরমাণু কেন্দ্রের প্রযুক্তি এবার ভারতের হাতে! রাশিয়ার সহায়তায় এই জিনিস ভারতের হাতে এলে শক্তি উৎপাদনের ক্ষেত্রে আমূল বদল ঘটবে দেশে। প্রসঙ্গত এই ভাসমান পরমাণু কেন্দ্র মূলত রাশিয়ারই মস্তিষ্কপ্রসূত। এখনও পর্যন্ত শুধুমাত্র রাশিয়াই এটি তৈরির কলাকৌশল জানেন। এবার রাশিয়ার সাথে হাত মিলিয়ে জলে এবং স্থলে দুই জায়গাতেই পরমাণু চুল্লি গড়ে তুলতে চলেছে ভারত। আর এই বিষয়ে ভারতকে সমস্ত রকম সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছেন সরকারি পরমাণু সংস্থা ‘রোসাটম’-এর প্রধান অ্যালেক্সেই লিখাচেভে। এদিন তাঁর সঙ্গেই সাইবেরিয়ায় গিয়ে বৈঠক করেছেন ভারতের ‘অ্যাটমিক এনার্জি কমিশন’-এর প্রধান অজিতকুমার মোহান্তি।
প্রতিবেশী দেশগুলির মধ্যে ভারতের বিপদে-আপদে বরাবরই পাশে দাঁড়িয়েছে রাশিয়া। আজ পর্যন্ত বহুবার ভারতের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে ভারতের অত্যন্ত বিশ্বাসযোগ্য বন্ধু হয়ে উঠেছে পুতিনের দেশ। তাই সেই বন্ধুত্বের দাম দিতে ভোলেনি ভারত-ও। এই কারণেই দু’বছরেরও বেশি সময় ধরে চলতে থাকা রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের পর যখন রাশিয়াকে হাতে ভাতে মারতে বদ্ধপরিকর পশ্চিমী দেশগুলি ঠিক তখনই সমস্ত নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করেই রাশিয়ার সাথে বন্ধুত্ব অটুট রেখেছে ভারত। আমেরিকার মতো শক্তিধর দেশে থেকে নানা ধমকানি চমকানির পরেও নিজেদের অবস্থানে অনড় থেকেছে ভারত।
তারপরেই রুশ সংবাদমাধ্যম রাশিয়া টুডে’র প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে ভারতের প্রতিনিধিকে অত্যাধুনিক পরমাণু কেন্দ্র ঘুরিয়ে দেখিয়েছেন রুশ প্রতিনিধি। যা ভবিষ্যতে বিশ্বের সর্বাধিক সুরক্ষিত পরমাণু চুল্লি হিসাবে পরিণত হতে চলেছে। এদিন দুই দেশের বৈঠকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল ভাসমান পরমাণু কেন্দ্র। রাশিয়ার সহায়তায় এই জিনিস ভারতের হাতে এলে শক্তি উৎপাদনের ক্ষেত্রে আমূল বদল ঘটবে দেশে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।