সংক্ষিপ্ত

ভূমিকম্পের দ্বিতীয় দিনেই জাপানের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। 

বছরের প্রথমদিনে সমগ্র বিশ্ব যখন উৎসবমুখর, তখন ভূমিকম্প ও সুনামির জোড়া ধাক্কায় বিধ্বস্ত ‘সূর্যোদয়ের দেশ’ জাপান। ৭.৫ রিখটার মাত্রার ভূমিকম্পে থরথর করে কেঁপে উঠল জাপানের উত্তর-পশ্চিম উপকূলের নোটো উপদ্বীপ। দু'একবার নয়, জাপানের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, কমপক্ষে ১৫৫টি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে টোকিও-সহ একাধিক শহরে। দেশ জুড়ে এখন শুধুই আতঙ্কের ছায়া। 

-

জাপানের বেশ কয়েকটি উপকূল এলাকায় সোমবার আছড়ে পড়েছে সুনামি। ফুঁসে উঠেছে সমুদ্র। সমুদ্রের ঢেউ ৫ মিটার পর্যন্ত উঠে পড়ে। উপকূলবর্তী অঞ্চল থেকে লোকজনকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ অব্যাহত রয়েছে। তবে, মঙ্গলবার থেকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সুনামির সতর্কতা সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কম্পন এবং সুনামির তাণ্ডবে এখনও পর্যন্ত ২৪ জন মানুষ মারা গিয়েছেন বলে জানা গেছে, অসংখ্য মানুষ আহত হয়েছেন। অনেকে নিখোঁজও রয়েছেন, তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে। অগুন্তি বাড়ি ভেঙে পড়েছে, রাস্তা ধসে গিয়ে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে, বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গিয়ে ওয়াজিমা শহরের মধ্যে বিধ্বংসী আগুন লেগে ১০০ টিরও বেশি বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। 

 



জাতীয় ভূমিকম্প কেন্দ্র বা ন্যাশানাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তথ্য অনুযায়ী, ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল মাটি থেকে অন্তত ১০ কিলোমিটার গভীরে। স্থানীয় সময় বিকেল ৪টে ৬ মিনিট থেকে ৫টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত বারবার কেঁপে ওঠে জাপানের একাধিক শহর। দেড় ঘণ্টার মধ্যে ২১ বার আফটারশক অনুভূত হয়েছে জাপানে।

-

ভূমিকম্পের দ্বিতীয় দিনেই জাপানের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি জানিয়েছেন, “জিল এবং আমি জাপানের মানুষদের জন্য প্রার্থনা করছি যাঁরা ভয়াবহ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আমার প্রশাসন জাপানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাপানি জনগণের জন্য যেকোনও প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করতে প্রস্তুত রয়েছে। ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপানের মধ্যে একটি গভীর বন্ধন রয়েছে, যা আমাদের জনগণকে একত্রিত করে। এই কঠিন সময়ে জাপানি জনগণের পাশে আমরা আছি।” 



সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছে একাধিক ভিডিও। সেখানে স্থানীয়রা নিজের নিজের অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেছেন। অনেকেই দাবি করেছেন, অন্তত ৩০ সেকেন্ড কম্পন অনুভূত হয়েছে। কিছু ভিডিওতে এও দেখা গেছে, দোলনার মতো দুলছে বাড়িঘর। আতঙ্কে বাড়ি-অফিস ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে এসেছেন দুর্ঘটনাকবলিত এলাকার মানুষ। কম্পনের সময়ে থরথর করে কাঁপছে ঘরবাড়ি, রেলস্টেশন-- এমন অনেক ভিডিওই দেখা যাচ্ছে নেট পাড়ায়।