Nepal's Gen Z: নেপালে তরুণ প্রজন্মের আন্দোলনের জেরে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি (KP Sharma Oli)। এখনও পর্যন্ত ভারতের এই প্রতিবেশী দেশে শান্তি ফেরেনি। দেশজুড়ে অস্থিরতা অব্যাহত।
KNOW
Nepal Crisis: নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকি (Chief Justice Sushila Karki)। বুধবার ভার্চুয়াল বৈঠকে তাঁকেই নেতা হিসেবে বেছে নিলেন নেপালের আন্দোলনকারীরা। এদিন ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দেন নেপালের তরুণ প্রজন্মের পাঁচ হাজারেরও বেশি প্রতিনিধি। বর্তমান পরিস্থিতিতে পরবর্তী নেতা বেছে নেওয়াই বৈঠকের আলোচ্য বিষয় ছিল। মঙ্গলবার শোনা গিয়েছিল, কাঠমাণ্ডুর মেয়র বালেন্দ্র শাহ (Kathmandu Mayor Balendra Shah) নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধান হতে চলেছেন। কিন্তু আন্দোলনকারীরা তাঁর সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও সাড়া পাননি। এই কারণে নেপালের তরুণ প্রজন্ম বৈঠক করে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতির নাম চূড়ান্ত করে ফেলল। নেপালের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সরকারের প্রধান হতে তৈরি। তিনি এর আগে বলেছিলেন, অন্তত ১,০০০ জনের স্বাক্ষর সম্বলিত আবেদনপত্র পেলেই তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেবেন। তাঁকে ২,৫০০ জনেরও বেশি স্বাক্ষর সম্বলিত আবেদনপত্র দেওয়া হয়েছে। ফলে তিনিই সরকারের প্রধান হতে পারেন।
নেপালে সঙ্কট কাটছে?
নেপালের তরুণ প্রজন্মের আন্দোলনকারীদের এক প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ‘আমরা বালেন্দ্র শাহের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু তিনি আমাদের ফোন ধরেননি। ফলে অন্যদের নাম নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। বেশিরভাগ আন্দোলনকারীই সুশীলা কারকির প্রতি সমর্থনের কথা জানিয়েছেন।’
আরও কয়েকজনের নাম নিয়ে আলোচনা
প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ছাড়াও নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আরও কয়েকজনের নাম নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ভার্চুয়াল বৈঠকে নেপাল ইলেকট্রিসিটি অথরিটির (Nepal Electricity Authority) প্রধান কুলমান ঘিসিং (Kulman Ghising), তরুণ প্রজন্মের নেতা সাগর ধাকাল (Sagar Dhakal), পূর্ব নেপালের শহর ধারানের মেয়র হরকা সামপাং (Dharan Mayor Harka Sampang), ইউটিউবার র্যান্ডম নেপালির (YouTuber Random Nepali) নাম নিয়ে আলোচনা হয়। ইউটিউবারও নেপালের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার অন্যতম দাবিদার হয়ে ওঠেন। তবে তিনি জানান, অন্য কেউ যদি দেশের পরবর্তী নেতা হওয়ার দাবিদার না হন, একমাত্র তাহলেই তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে রাজি। ফলে এই ইউটিউবার এখন আর আলোচনায় নেই।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


