Nobel Prize On Peace: শান্তিতে তার অবদান অস্বীকার্য। আর এবার তাকে বিশ্ব শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দিলো নোবেল পুরস্কার কমিটি। বিশদে জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন… 

Nobel Prize On Peace: প্রথম থেকেই দাবি করে আসছিলেন তিনি। বিশ্ব শান্তিকে নোবেলটা যেন তাঁকেই দেওয়া হয়। কিন্তু শনিবার দুপুরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সেই আশায় জল ঢালল নোবেল কর্তৃপক্ষ। ডোনাল্ড ট্রাম্প নয়। বিশ্ব শান্তিতে নোবেল পাচ্ছেন ভেনিজুয়েলার প্রধান বিরোধী দলনেত্রী মারিয়া করিনা মাচাদোই। তিনি তার কাজের জন্য ভেনেজুয়েলাবাসীর কাছে 'আয়রন লেডি' হিসেবেও পরিচিত। 

কে মারিয়া করিনা মাচাদোই?

তিনি মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারের লড়াই নিয়ে সবসময় কথা বলেন। এবং গণতান্ত্রিক অধিকারের জন্য কাজও করে চলেছেন। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পত্রিকা 'টাইম ম্যাগাজিন' তাদের বার্ষিক 'দ্য ১০০ মোস্ট ইনফ্লুয়েনশিয়াল পিপল অফ ২০২৫' (The 100 Most Influential People of 2025)-এর তালিকা প্রকাশ করেছে। এই বহু প্রতীক্ষিত তালিকায় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের মধ্যে তাঁর নামও রয়েছে। তাঁর এই স্বীকৃতি এক বিশেষ সম্মানের বিষয় বলে মনে করা হচ্ছে। 

Scroll to load tweet…

সূত্রের খবর, ৫৮ বছর বয়সী ভেনিজুয়েলার এই বিরোধী দলনেত্রী সে দেশে নির্বাচনের পর থেকেই আত্মগোপন করে রয়েছেন। শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য তিনি মনোনীত হলেও বর্তমানে মারিয়া করিনা কোথায় রয়েছেন সেই বিষয়ে কিছু বিস্তারিত ভাবে জানা যায়নি। 

এদিকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার ভেনেজুয়েলার নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদো-কে দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিঃসন্দেহে ক্ষুব্ধ হবেন। কারণ, ট্রাম্প বারবার দাবি করেছেন যে "আটটি যুদ্ধ" মিটিয়ে তিনি এই সম্মানের যোগ্য। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মাচাদোর এই বিজয় খেয়ালী এই রিপাবলিকান নেতার জন্য বিশেষ কোনও আঘাত হানবে না। 

কারণ, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ট্রাম্প ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর বিরুদ্ধে মাদকের চোরাচালান নিয়ে একটি কঠোর অবস্থান নিয়েছেন এবং ভেনেজুয়েলার সঙ্গে সমস্ত কূটনৈতিক প্রচেষ্টা বন্ধ করে দিয়েছেন। মাদুরো সরকারের ওপর চাপ বাড়ানোই এখন তাঁর প্রধান লক্ষ্য বলে মনে করা হচ্ছে। 

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।