Lashkar-e-Taiba terrorists: পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam) জঙ্গি হামলার সঙ্গে জড়িত থাকা সন্ত্রাসবাদীদের এখনও গ্রেফতার করতে পারেননি নিরাপত্তারক্ষীরা। এরই মধ্যে চেন্নাই-কলম্বো উড়ানে (Chennai-Colombo flight) জঙ্গিরা আছে বলে সন্দেহে তল্লাশি চালানো হল।

Lashkar-e-Taiba Terrorists on Chennai-Colombo Flight: বিমানে রয়েছে পাঁচজন সন্দেহভাজন লস্কর-ই-তইবা (Lashkar-e-Taiba) জঙ্গি। এই সন্দেহে চেন্নাই-কলম্বো উড়ানে তল্লাশি চালানো হল। কলম্বোর বন্দরনায়েকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (Colombo's Bandaranaike International Airport) শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইন্সের উড়ান নামতেই তল্লাশি চালানো হল। চেন্নাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (Chennai International Airport) কর্তৃপক্ষকে ই-মেল করে খবর দেওয়া হয়, শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইন্সের উড়ানে পাঁচজন লস্কর-ই-তইবা জঙ্গি আছে। শনিবার সকাল ১১টা বেজে ৫ মিনিটে চেন্নাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মুখ্য নিরাপত্তা আধিকারিক এই ই-মেল পান। এই ই-মেল ছিল 'নন-স্পেসিফিক'। এই ই-মেলে বলা হয়, ‘সকাল ৯টা বেজে ৫৫ মিনিটে ইউএল ১২২ পাঁচজন দক্ষিণ ভারতীয় যুবক আছে। ওরা লস্কর জঙ্গি। ওদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। ওরা সু-প্রশিক্ষিত। ওদের দেখলে কারও সন্দেহ হবে না।’ এই ই-মেল পাওয়ার পরেই তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। কলম্বো বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে খবর দেওয়া হয়। তবে তল্লাশি চালিয়ে সন্দেহভাজন কাউকে পাওয়া গিয়েছে কি না, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।

পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে জড়িত জঙ্গিরা বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে?

পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam) জঙ্গি হামলায় লস্কর জঙ্গিরা জড়িত ছিল বলে সন্দেহ নিরাপত্তারক্ষীদের। কাশ্মীর-সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সন্দেহভাজন জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই হামলার সঙ্গে জড়িত জঙ্গিদের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এই কারণে সতর্ক নিরাপত্তারক্ষীরা। দেশের সব বিমানবন্দর, রেলস্টেশন, জনবহুল জায়গাগুলিতে সাধারণ মানুষের ভিড়ে মিশে থাকতে পারে জঙ্গিরা। তারা ফের নাশকতা চালাতে পারে। সে কথা মাথায় রেখেই সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

এখনও কাশ্মীরেই লুকিয়ে জঙ্গিরা?

২২ এপ্রিল দুপুরে পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় হামলা চালায় জঙ্গিরা। তারপর থেকেই তারা অধরা। এই জঙ্গিরা এখনও দক্ষিণ কাশ্মীরেই লুকিয়ে আছে বলে সন্দেহ জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (National Investigation Agency) আধিকারিকদের। তদন্তকারীদের অনুমান, পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গিরা দীর্ঘদিন ধরে লুকিয়ে থাকার প্রস্তুতি নিয়েই হামলা চালানোর কিছুদিন আগে পহেলগাঁওয়ে আসে। নিরীহ পর্যটকদের উপর হামলা চালানোর পরেই তারা সেখান থেকে পালিয়ে গিয়ে লুকিয়ে পড়ে। তাদের কাছে খাবার, গোপনে লস্কর-ই-তইবার হ্যান্ডলারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার অত্যাধুনিক ব্যবস্থা-সহ নানা ধরনের উপকরণ আছে। নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে এনআইএ জানতে পেরেছে, পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় চারজন জঙ্গি নিরীহ পর্যটকদের গুলি করে খুন করলেও, তাদের আরও কয়েকজন সঙ্গী ছিল। তারা এখনও কাশ্মীরেই আছে। তারা হয় কোনও গোপন জায়গায় আছে, না হলে নানা জায়গায় পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।

পহেলগাঁওয়ে হামলায় জড়িত বেশ কয়েকজন জঙ্গি?

প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় পর্যটকদের উপর হামলা চালানোর সময় প্রকাশ্যে ছিল চারজন জঙ্গি। তবে এনআইএ-র সন্দেহ, আরও কয়েকজন জঙ্গি কাছেই কোথাও ছিল। তারা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছিল। নিরাপত্তারক্ষীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে গেলে যদি সঙ্গীদের পালাতে সমস্যা হয়, তাহলে গুলি চালাতে তৈরি ছিল আড়ালে থাকা জঙ্গিরা। কাশ্মীরের দুর্গম জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে লুকিয়ে থাকতে তৈরি এই জঙ্গিরা। বাইরে থেকে আপাতত কোনও সাহায্য না পেলেও তাদের চলবে। বেশ কিছুদিন ধরে গা ঢাকা দিয়ে থাকার মতো রসদ তাদের কাছে আছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জঙ্গিদের সাহায্য করছে কি না, সে বিষয়েও খোঁজ নিচ্ছেন তদন্তকারীরা। প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলছেন এনআইএ আধিকারিকরা। তাঁদের বয়ান থেকে জানা গিয়েছে, যে জায়গায় হামলা চালানো হয়, সেখানে ঢোকা ও বেরনোর পথ আটকে দিয়েছিল জঙ্গিরা। মূল প্রবেশপথ দিয়ে ঢোকে দুই জঙ্গি। অপর এক জঙ্গি বেরনোর পথ দিয়ে ঢোকে। অন্য একজন পাইন বন লুকিয়েছিল। তিনজন জঙ্গি পর্যটকদের গুলি করে। যে পর্যটকরা প্রকৃতির শোভা উপভোগ করছিলেন, খাবার দোকানে ছিলেন, ঘোড়ায় চড়ে ঘুরছিলেন, তাঁদের উপর হামলা চালানো হয়। দুই জঙ্গি সেনার পোশাক পরেছিল। তৃতীয় জঙ্গি কাশ্মীরের চিরাচরিত পোশাক ফেরান পরেছিল। প্রথমে ওই জায়গা থেকে বেরনোর পথে গুলি চালায় এক জঙ্গি। পর্যটকদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করাই তার উদ্দেশ্য ছিল। গুলির শব্দ পেয়ে পর্যটকরা প্রবেশ পথের দিকে দৌড়তে শুরু করেন। তখন সেখানে থাকা দুই জঙ্গি গুলি চালাতে শুরু করে।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।