- Home
- World News
- International News
- মোদীর সফরে জাপানে মিলেমিশে একাকার ভারতীয় সংস্কৃতি, নমোকে 'দারুমা পুতুল' উপহার
মোদীর সফরে জাপানে মিলেমিশে একাকার ভারতীয় সংস্কৃতি, নমোকে 'দারুমা পুতুল' উপহার
Modi Daruma Doll: এসসিও-র শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে চিন-জাপান সফরে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন জাপান সফরে মোদীকে বিশেষ উপহার। বিশদে জানতে দেখুন সম্পূর্ণ ফটো গ্যালারি।।

জাপান সফরে প্রধানমন্ত্রী
চিনে সাংহাই বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগে জাপান সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার ভারত ও জাপান যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত আর্থিক ফোরামের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে টোকিও যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। নমোর এই জাপান সফরে গায়েত্রীমন্ত্র থেকে কত্থকনৃত্য করে তাঁকে অভিবাদন জানানো হয় জাপানের তরফে। সেইসঙ্গে মোদী হাতে তুলে দেওয়া হয় জাপানের ঐতিহ্যবাহী পুরস্কার।
মোদীকে জাপানের দারুমা পুতুল উপহার
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর টোকিও সফরে তাঁকে জাপানের ঐতিহ্যবাহী বিশেষ দারুমা পুতুল উপহার দেওয়া হয়। এই দারুমা ডল হল জাপানের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও ব্যবসা বাণিজ্যের উন্নতির প্রতীক। এটি জাপানের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি একসঙ্গে বহন করে চলেছে।
জাপানে মিলেমিশে একাকার ভারতীয় সংস্কৃতি
মোদী জাপানে পা রাখতেই মিলেমিশে একাকার হল ভারত-জাপান সংস্কৃতি। কারণ, জাপান সফরে নমোকে অভর্থ্যনা জানানো হয় ভারতীয় নৃত্য ও সংস্কৃত গায়েত্রী মন্ত্র জপ করে। এছাড়াও মোদীকে যে দারুমা ডলটি উপহার দেওয়া হয়েছে সেটির সঙ্গেও যোগ রয়েছে ভারতীয় ইতিহাস ও সংস্কৃতির।
দারুমা ডল কীসের প্রতীক
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে যে দারুমা পুতুল উপহার দেওয়া হয়েছে তা হল ইতিহাস-সংস্কৃতি ও জাপানিজ ঐতিহ্যের প্রতীক। জাপানের বাসিন্দারা মনে করেন যে, এটি তাদের জাপানি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। এটি সৌভাগ্য-সমৃদ্ধি ও অধ্যাবসায়ে উন্নতির প্রতীক। জাপানের প্রতিটি বাড়ি, অফিস কাছাড়ি সহ গুরুত্বপূর্ণ জায়গা, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে এই জাপানি ডল দেখা যায়। আর এই বিশেষ পুতুলের সঙ্গে জড়িত রয়েছে ভারতীয় ইতিহাস।
দারুমা পুতুলের ইতিহাস
কথিত আছে, দারুমা পুতুলটি তামিলনাড়ুর কাঞ্চিপুরমের একজন সন্ন্যাসী দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে তৈরি। দারুমা শব্দের উৎপত্তি বোধি ধর্ম থেকে। ওই সন্ন্যাসী ৪৪০ খ্রিস্টাব্দে পল্লবদের রাজধানীতে জন্মগ্রহণ করেন। পঞ্চম থেকে ষষ্ঠ শতাব্দীতে বৌদ্ধ জীবনধারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে তিনি চিন সফরে যান। সেখান থেকে যান জাপানে। শোনা যায়, এই সাধক টানা ৯ বছর ধ্যানমগ্ন ছিলেন। দীর্ঘ সময় ধ্যানস্থ থাকার কারণে তাঁর হাত-পা অসাড় হয়ে যায়। এই সময়কালে তাঁর যাতে ঘুম না আসে তাই নিজের চোখের পাতা উপড়ে ফেলেন নিজেই। যার জেরেই পুতুলে তাঁর চোখ উন্মুক্ত ও বড় বড়। আর তারপরই এই সাধকের থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে জাপানিরা তৈরি করে এই দারুমা পুতুল। যা আজও সৌভাগ্য-সমৃদ্ধির প্রতীক বলে মনে করেন জাপানিরা।

