সংক্ষিপ্ত

এমন তথ্য সামনে এসেছে, যা সত্যিই ভীতিকর। আমেরিকা, ব্রিটেন, নিউজিল্যান্ড এবং কানাডার মতো দেশে ভারী মন্দা প্রত্যাশিত। তবে এই তথ্যে বড় স্বস্তি পেয়েছে ভারত।

বিশ্ব পর্যায়ে মন্দার আশঙ্কায় অনেক কোম্পানি বন্ধ হয়ে গেছে। এর খারাপ প্রভাব পড়েছে ব্যাংকিং খাতে। একই সঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বেশির ভাগ কোম্পানিই কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করেছে। এরই মধ্যে এমন তথ্য সামনে এসেছে, যা সত্যিই ভীতিকর। আমেরিকা, ব্রিটেন, নিউজিল্যান্ড এবং কানাডার মতো দেশে ভারী মন্দা প্রত্যাশিত। তবে এই তথ্যে বড় স্বস্তি পেয়েছে ভারত।

মন্দার শীর্ষ তিনটি দেশ

ভারতে মন্দার সম্ভাবনা শূন্য। ওয়ার্ল্ড অফ স্ট্যাটিস্টিকসের তথ্য অনুযায়ী, মন্দার সর্বোচ্চ প্রভাব ব্রিটেনে দেখা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এখানে মন্দা অনুমান করা হয়েছে ৭৫ শতাংশ। এরপর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে নিউজিল্যান্ড, যেখানে মন্দার প্রভাব ৭০ শতাংশ হতে পারে। আমেরিকা এই ক্ষেত্রে তিন নম্বরে থাকবে, যেখানে মন্দার প্রভাব হওয়ার সম্ভাবনা ৬৫ শতাংশ।

এসব দেশে মন্দার সম্ভাবনা ৫০ শতাংশের বেশি

ফ্রান্সেও মন্দার সম্ভাবনা রয়েছে, কারণ এখানেও অর্থনৈতিক ঘাটতির কারণে অনেক কোম্পানি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফ্রান্সে ৫০ শতাংশ মন্দা হতে পারে। একই সঙ্গে কানাডায় ৬০ শতাংশ, ইতালিতে ৬০ শতাংশ এবং জার্মানিতে ৬০ শতাংশ মন্দার প্রভাবও দেখা যায়।

চিন-জাপানে মন্দার প্রভাব কতটা পড়বে

দক্ষিণ আফ্রিকায় ৪৫% মন্দার সম্ভাবনা

অস্ট্রেলিয়ায় ৪০ শতাংশ মন্দার সম্ভাবনা রয়েছে।

রাশিয়ায় মন্দার সম্ভাবনা ৩৭.৫ শতাংশ

জাপানে মন্দার সম্ভাবনা ৩৫ শতাংশ

দক্ষিণ কোরিয়ায় ৩০ শতাংশ মন্দা প্রত্যাশিত

মেক্সিকোতে মন্দার সম্ভাবনা ২৭.৫ শতাংশ

স্পেনে এটি ২৫ শতাংশ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সুইজারল্যান্ডে মন্দার প্রভাব ২০ হতে পারে

ব্রাজিলে ১৫ শতাংশ এবং চিনে ১২.৫ শতাংশ মন্দার অনুমান

ভারতে কোনো মন্দা থাকবে না

বিশ্বে মন্দার পূর্বাভাস তথ্য অনুসারে, ভারতই একমাত্র দেশ যেখানে মন্দা স্থায়ী হচ্ছে না। অন্যদিকে ইন্দোনেশিয়ায় মন্দার প্রভাব মাত্র ২ শতাংশ এবং সৌদি আরবে এই অনুমান ৫ শতাংশ।

সুতরাং দেখা যাচ্ছে বিশ্ব মন্দার মাঝারি প্রভাব পড়বে স্পেন, মেক্সিকো, দক্ষিণ আমেরিকা, কোরিয়া , জাপান, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ফ্রান্সের ওপরে। অন্যদিকে, ভারতের অর্থনীতি দ্রুত বর্ধনশীল বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল চলতি বছরের জন্য ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার কমিয়ে দিয়েছে। ৬.১ থেকে ৫.৯ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও বলা হয়েছে ভারতই হল বিশ্বের সবথেকে বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল বিশ্বের প্রধান অঞ্চলগুলির মধ্যে সবচেয়ে গতিশীল হবে এবং চিন ও ভারত এতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। আইএমএফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ অঞ্চলের এই দুটি বৃহত্তম ও উদীয়মান অর্থনীতি চলতি বছরের বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির প্রায় অর্ধেক অবদান রাখবে। বাকি অর্ধেকের এক পঞ্চমাংশ হবে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে।