সংক্ষিপ্ত

রাশিয়া মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের ডিনিপ্রো শহরের উদ্যোগ এবং সমালোচনামূলক পরিকাঠামোকে টার্গেট করেছে। তবে আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কাদের লক্ষ্যবস্তু করে এবং এর ফলে কী ক্ষতি হয়েছে তা বিবৃতিতে স্পষ্ট করা হয়নি।

রাশিয়া বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে একটি বড় আক্রমণ শুরু করেছে, তার দক্ষিণ আস্ট্রখান অঞ্চল থেকে একটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এই প্রথম রাশিয়া এত শক্তিশালী এবং দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করল। ইউক্রেনের বিমান বাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে। মস্কোর আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলাটি এসেছে যখন ইউক্রেন এই সপ্তাহে রাশিয়ার অভ্যন্তরে লক্ষ্যবস্তুতে মার্কিন এবং যুক্তরাজ্যের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে, যা মস্কো কয়েক মাস আগে সতর্ক করেছিল যে উত্তেজনা অনেক বেড়ে যেতে পারে।

রাশিয়া মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের ডিনিপ্রো শহরের উদ্যোগ এবং সমালোচনামূলক পরিকাঠামোকে টার্গেট করেছে। তবে আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কাদের লক্ষ্যবস্তু করে এবং এর ফলে কী ক্ষতি হয়েছে তা বিবৃতিতে স্পষ্ট করা হয়নি। আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা হাজার হাজার কিলোমিটার এবং পারমাণবিক ওয়ারহেড সরবরাহ করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে এগুলো প্রচলিত ওয়ারহেডের জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে। হামলার সময় ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ৬টি কেএইচ-১০১ ক্রুজ মিসাইল ধ্বংস করেছে।

আমেরিকা ও ব্রিটেনের সহায়তায় ক্ষুব্ধ রাশিয়া

সম্প্রতি আমেরিকা ও ব্রিটেন ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ক্রুজ ও ব্যালিস্টিক মিসাইল দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে। এসব অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে আমেরিকার ATACMS এবং ব্রিটেনের 'Storm Shadow' মিসাইল। এর পর ইউক্রেন রাশিয়ার লক্ষ্যবস্তুতে এসব অস্ত্র ব্যবহার করে। আসলে ইউক্রেনের এই হামলার পর রাশিয়ার পক্ষ থেকে কড়া জবাব দেওয়া হবে বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, আইসিবিএম হামলাকে পশ্চিমা দেশ ও ইউক্রেনের জন্য স্পষ্ট সতর্কবার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, রাশিয়ার আস্ট্রাখান অঞ্চল থেকে একটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। এতে হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্রের তথ্য দেওয়া হয়েছে। তবে কী ধরনের আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে তা বলা হয়নি। ৩৩ মাসেরও বেশি সময় ধরে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ চলছে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।