- Home
- World News
- International News
- আল কায়েদার সঙ্গে যুক্ত নয় বালোচ গোষ্ঠী, রাষ্ট্রপুঞ্জে পাক প্রস্তাবের বিরোধিতা আমেরিকা-ফ্রান্সের
আল কায়েদার সঙ্গে যুক্ত নয় বালোচ গোষ্ঠী, রাষ্ট্রপুঞ্জে পাক প্রস্তাবের বিরোধিতা আমেরিকা-ফ্রান্সের
Donald Trump On Baloch: নিষিদ্ধ সংগঠন বালোচ গোষ্ঠীর ওপর বিধি নিষেধ আরোপে এবার বেঁকে বসল আমেরিকা। সঙ্গী ফ্রান্স-ব্রিটেন। কেন হঠাৎ এই সিদ্ধান্ত ট্রাম্পের? বিশদে জানতে দেখুন সম্পূর্ণ ফটো গ্যালারি…

বালোচ বিধিনিষেধে না
বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি তথা বালোচ বিদ্রোহী গোষ্ঠীর ওপর বিধি নিষেধ আরোপ করার জন্য রাষ্ট্রপুঞ্জে একসঙ্গে প্রস্তাব এনেছে চিন-পাকিস্তান। কিন্তু তাতে সায় দিলো না আমেরিকা। সরে দাঁড়াল ব্রিটেন , ফ্রান্সও। যদিও গত মাসেই বিএলএ-কে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছিল আমেরিকা।
কী অভিযোগ বিএলএ-র উপর?
রাষ্ট্রসঙ্গে পাকিস্তান ও চিন যৌথ ভাবে জানায় যে, বালোচ লিবারেশন পার্টি ও তাদের সহযোগি মজিদ ব্রিগেড বাহিনী আল কায়েদা, আইএস-এর মতো জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। এই বিষয়ে বুধবার রাষ্ট্রপুঞ্জে পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি ইফতিকার আহমেদ দাবি করেন, বিএলএ এবং মজিদ ব্রিগেড আফগানিস্তান থেকে পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ পরিচালনা করছে। অবিলম্বে তা নিষিদ্ধ করা হোক।
রাষ্ট্রপুঞ্জে কী দাবি জানিয়েছেন পাক প্রতিনিধি?
এই বিষয়ে পাক প্রতিনিধি রাষ্ট্রপূঞ্জে আবেদন জানিয়ে বলেন যে, ‘’বালোচ লিবারেশন আর্মি ও তাদের সহযোগি সংগঠন মজিদ ব্রিগেড বাহিনী জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত। রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে বিষয়টি দেখবে এবং এদের বিরুদ্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেই আশা করছি।''
রাষ্ট্রপুঞ্জের বক্তব্য
জানা গিয়েছে, এই বিষয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের সনদে ১২৬৭ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, কোনও সংগঠন আল কায়দা, তালিবান কিংবা আইএস-এর সঙ্গে সম্পর্ক রাখলে সেই সংগঠনের সদস্যেরা অন্য দেশে যেতে পারবেন না। তাঁদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে। এমনকি তাঁদের কাছে থাকা অস্ত্রশস্ত্রও বাজেয়াপ্ত করা হবে। তবে আদতে বালোচ লিবারেশন আর্মির বিরুদ্ধে ঠিক কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে সেই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত বিস্তারিত ভাবে কিছু জানা যায়নি।
কেন বিরোধিতা করছে আমেরিকা-ফ্রান্স?
যদিও পাক-চিনের এই দাবির জোরালো বিরোধিতা জানিয়েছে আমেরিকা, ফ্রান্স ও ব্রিটেনের মতো দেশগুলি। কারণ, আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলির যুক্তি যে, বালোচ গোষ্ঠী আল কায়েদার মতো জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত তার স্বপক্ষে জোরালো কোনও প্রমাণ নেই। আর এই দাবি জানিয়েই রাষ্ট্রপুঞ্জে পাকিস্তান-চিনের দাবির বিরোধিতা করেছে আমেরিকা।

