সংক্ষিপ্ত
২৩ জুলাই ইউক্রেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রক একটি টুইট করেছে। যেখানে এক ইউক্রেনীয় সেনাকে জঙ্গলের মধ্যেই পদ্মাসনে ধ্যানে মগ্ন অবস্থায় রয়েছে।
রাশিয়া - ইউক্রেন যুদ্ধ এখনও অব্যাহত। রাশিয়ার সেনাবাহিনীকে মাসের পর মাস ধরে আটকে রেখেছে কমজোরি ইউক্রেনীয় বাহিনী। যাকে অভাবনীয় সাফল্য হিসেবেই দেখছে সেই দেশের মানুষ। রাশিয়া বিলাশ হল্লা সেনা কামান, মিসাইলের কাছে প্রায় নস্যি ইউক্রেনের সেনা। কিন্তু তারপরেও কী করে রাশিয়াকে দিনের পর দিন বেঁধে রাখতে সক্ষম হয়েছে ইউক্রেনীয় বাহিনী? এই প্রশ্নটা উঠেই যাচ্ছে। তবে সম্প্রতি ইউক্রেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এইটি টুইট থেকেই তার কিছুটা আভাস পাওয়া যায়।
গত ২৩ জুলাই ইউক্রেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রক একটি টুইট করেছে। যেখানে এক ইউক্রেনীয় সেনাকে জঙ্গলের মধ্যেই পদ্মাসনে ধ্যানে মগ্ন অবস্থায় রয়েছে। সেই ছবিও পোস্ট করা হয়েছে। সামনে পড়ে রয়েছে তার কালাসনিকভ। পরনে সেনার পোশাক। যেখানে যুদ্ধের কিছু অস্ত্রও উঁকি দিচ্ছে। ক্যাপশানে লেখা হয়েছে সকালের যোগাই ইউক্রেনের রাস্তা। তারপরই লেখা হয়েছে যোগা আর আর্য়ুবেদে ভরসা রাখছে ইউক্রেন। আপনিও দেখুন সেই টুইট।
যাইহোক রাশিয়ার হামলার প্রায় বিধ্বস্ত ইউক্রেন। দেশের বহু মানুষই নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ঘরবাড়ি ফেলে রেখে চলে গেছেন অন্যত্র। পোল্যান্ডসহ একাধিক দেশের শরনার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে তারা। এই অবস্থায় রাশিয়া একের পর ইউক্রেনের বড় শহর দখল করছে। কিন্তু যুদ্ধের দুই থেকে আড়াই মাস পরেও তেমনভাবে কবজা করতে পারেনি ইউক্রেন। যে খারকিভ দখল করে ইউক্রেনকে বিনাশ করে দেওয়ার স্বপ্ন দেখেছিল রাশিয়া সেই খারকিভ দখলে এলেও তেমন সুবিধে হয়নি। যাইহোকে যুদ্ধের যা পরিস্থিতি তাতে এখনও পর্যন্ত পাল্লা ভারী রুশ সেনার। কিন্তু অদম্য মনোভাবাপন্ন ইউক্রেনীয় সেনা এখনও পর্যন্ত মাটি কামড়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। দেখের জেলেনেস্কিও মাটি আঁকড়ে রয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন শেষ দেখে তবেই ছাড়বেন।
অন্যদিকে অসুস্থ হয়ে অন্তরালে চলে গেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত। কিন্তু এখনও লড়াইয়ের ময়দান ছাড়েনি তাঁর রুশ সেনা। যুদ্ধ চলছে।
আরও পড়ুনঃ
‘কার্গিল অপারেশন উদযাপনের প্রয়োজন ছিল না’, কংগ্রেস সাংসদের মন্তব্য নিয়ে সরব বিজেপি
সিঙ্গাপুর থেকে শ্রীলঙ্কায় ফিরবেন রাজাপক্ষে, তবে কি কেউ আশ্রয় দিল না প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিকে
মমতার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা নয়, কারণ জানালেন বিচারপতি বিবেক চৌধুরী