সংক্ষিপ্ত
- আইপিএলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জয় দিল্লির
- ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসকে হারাল ৪৪ রানে
- প্রথমে ব্যাট করে ১৭৫ রান করে শ্রেয়স আইয়রের দল
- জবাবে চেন্নাই সুপার কিংসের ইনিংস শেষ হয় ১৩১ রানে
আইপিএলের সপ্তম ম্য়াচে ফের হার এমএস ধোনির সিএসকের। দিল্লি ক্যাপিটালসের কাছে হার রানো। প্রথমে ব্যাট করে ১৭৫ রান করে শ্রেয়স আইয়রের দল। দুরন্ত অর্ধশতরান করেন পৃথ্বি শ। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে সিএসকের সিএসকের ইনিংস শেষ হয় রানে। এদিন টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। দিল্লির হয়ে ওপেন করতে নেমে শুরুতে একটু ধরে শুরু করেন দিল্লির দুই ওপেনার শিখর ধওয়ান ও পৃথ্বী শ। রিস্ক কম নিয়ে ইনিংস বিল্ডআপ করেন তারা। প্রথম পাওয়ার প্লে-তে খুব একটা আক্রমণাত্বক খেলেননি পৃথ্বী ও ধওয়ান। ৬ ওভার শেষে দিল্লি ক্যাপিটালসের স্কোর ছিল বিনা উইকেটে ৩৬ রান। পাওয়ার প্লে-র পর রানের গতিবেগ বাড়ায় দুই ওপেনার। ১০ ওভার শেষে দিল্লির স্কোর দাঁড়ায় গিয়ে ৮৮ রান বিনা উইকেটে। এরই মধ্যে নিজের অর্ধশতরান পূরণ করে ফেলেন পৃথ্বী শ। কিন্তু এগারো তম ওভারে প্রথম উইকেট পড়ে দিল্লির। পীযুষ চাওলার বলে আউট হন শিখর ধওয়ান। গব্বর করেন ২৭ বলে ৩৫ রান। দ্বিতীয় উইকেটের জন্য বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি চেন্নাইকে ১৩ তম ওভারে ফের পীযুষ চাওলার বলে স্টাম্প আউট হন পৃথ্বী শ। ৪৩ বলে ৬৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
এরপর দিল্লির ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান শ্রেয়স আইয়র ও ঋষভ পন্থ। ১৫ ওভার শেষে দিল্লির স্কোর দাঁড়ায় ১২৪ রানে ২ উইকেট। ইনিংসের গতিবেগও বাড়ান তারা। ১৭ তম ওভারে ১২ রান করে দিল্লি। মোট স্কোর হয় ১৪৬ রানে ২ উইকেট। ১৮ তম ওভারে হ্য়াজেলউডকে আক্রমণ করেন ঋষভ। ১৮ ওভার শেষে দিল্লির স্কোর হয় ১৫৭। ১৯ তম ওভারে দুরন্ত বল করেন স্যাম কুরান। মাত্র ৪ রান দিয়ে শ্রেয়স আইয়রের উইকেট তুলে নেন তিনি। দিল্লির অধিনায়ক করেন ২৬ রান। ২০ তম ওভারে আসে ১৪ রান। ২০ ওভারে দিল্লি ক্যাপিটালসের রান দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ১৭৫ রান। চেন্নাইয়ের হয়ে দুটি উইকেট নেন পীযুষ চাওলা ও একটি উইকেট নেন স্যাম কুরান। দিল্লির হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন পৃথ্বী শ।
১৭৬ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে খুব ধীরে শুরু করে চেন্নাই সুপার কিংস। উইকেট না হারিয়ে রান তোলার পরিকল্পনা নিলেও তা ব্যর্থ হয়। কিন্তু এদিনও সিএসকের ওপেনিং জুটি ব্যর্থ হয়। পঞ্চম ওভারে প্রথম উইকেট পড়ে সিএসকের। অ্যাক্সর প্য়াটেলের বলে আউট হন শেন ওয়াটসন। তিনি করেন ১৪ রান। ষষ্ঠ ওভারেই দ্বিতীয় উইকেট পড়ে চেন্নাইয়ের। নর্ৎজের বলে আউট হন মুরলি বিজয়। ১০ রান করেন তিনি। পরপর দুটি উইকেট পড়ে চাপে পড়ে যায় সিএসকে। ৬ ওবারের পাওয়ার প্লে শেষে সিএসকের রান দাঁড়ায় ২ উইকেটে ৩৪ রান। ফের একদিক থেকে চেন্নাইয়ের ইনিংসের রাশ ধরেন ফাফ ডুপ্লেসি। কিন্তু দশম ওভারে তৃতীয় উইকেটে পতন হয়। ব্যক্তিগত ৫ রানে রান আউট হয়ে প্যাভেলিয়নে ফেরত যানঋতুরাজ গায়কোয়াড়। ১০ ওভার শেষে ধোনির দলের স্কোর দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ৪৭।
এরপর চেন্নাইয়ের ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান ডুপ্লেসি ও কেদার যাদব। ধীরে ধীরে রানের গতিবেগও কিছুটা বাড়ান দুই তারকা ব্যাটসম্যান। ১৫ ওভার শেষে চেন্নাইয়ের স্কোর দাঁড়ায় ৯৫ রানে ৩ উইকেট। ১৬ তম ওভার চতুর্থ উইকেট পড়ে সিএসকের। নর্ৎজের বলে ২৬ রান করে আউট হন কেদার যাদব। চতুর্থ উইরেটে ৫৪ রানের পার্টনারশিপ করেন কেদার ও ডুপ্লেসি। এরপর ক্রিজে আসেন ধোনি। ১৭ তম ওভারে দুটি চার নারেন ধোনি। স্কোর দাঁড়ায় ১১৪। ১৮ তম ওভারে পঞ্চম উইকেটের পতন হয়। রাবাডার বলে ৪ রানে আউট হন ফাফ ডুপ্লেসি। ১৮ ওভার শেষে সিএসকের স্কোর দাঁড়ায় ১২১ রানে ৫ উইকেট। ১৯ ওভার শেষে চেন্নাইয়ের স্কোর দাঁড়ায় ১২৭ রানে ৫ উইকেট। শেষ ওভারে রাবাডার বলে আউট হন ধোনি। তিনি করেন ১৫ রান। ইনিংসের শেষ বলে রাবাডডার বলে আউট হন জাদেজা। ২০ ওভার শেষে চেন্নাইয়ের ইনিংস শেষ হয় ৭ উইকেটে ১৩১ রানে। ৪৪ রানে ম্যাচ জিতে নেয় দিল্লি ক্যাপিটালস। এই ম্যাচ জয়ের ফলে গ্রুপ টেবিলের শীর্ষে উঠে আসল শ্রেয়স আইয়রের দল।