সংক্ষিপ্ত

  • প্লে অফের শেষ ম্যাচ জয় পেল দিল্লি ক্যাপিটালস
  • সানরাইজার্সকে ১৭ রানে হারান শ্রেয়স আইয়রের দল
  • প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ১৮৯ রানে করে দিল্লি
  • জবাবে সানরাইজার্সের ইনিংস শেষ হয় ১৭২ রানে
     

আইপিএল ২০২০-র প্লে অফের শেষ ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ১৭ রানে হারিয়ে ফাইনালে উঠল দিল্লি ক্যাপিটালস।  প্রথমে ব্যাট করেন ২০ ওভারে ১৮৯ রান করে দিল্লি। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৮ রানের ইনিংস খেলেন শিখর ধওয়ান। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে ক্রমাগত ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় সানরাইজার্স। হায়দরাবাদের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৭ রান করেন কেন উইলিয়ামসন। সানরাইজার্সের ইনিংস শেষ হয় ১৭২ রানে। দিল্লির হয়ে ৪ উইকেট নিয়ে দুরন্ত বোলিং করেন রাবাডা। ৩ উইকেট নেন স্টয়নিসও। এদিন টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়র। ওপেনিংয়ে শিখর ধওয়ানের সঙ্গে মার্কাস স্টয়নিসকে নামিয়ে চমক দেয় দিল্লি। আক্রমণাত্বক ভঙ্গিতে শুরু করেন দুই ওপেনার। পাওয়ার প্লে শেষের আগেও ওপেনিং জুটিতে ৫০ রানের পার্টনারশিপ করে ফেলেন তারা। ৬ ওভারের পাওয়ার প্লে শেষে দিল্লির স্কোর দাঁড়ায় বিনা উইকেটে ৬৫।পাওয়ার প্লের পরও আক্রমণাত্বক ব্যাটি চালিয়ে যান দুই ব্যাটসম্যান। অবশেষে নবম ওভারে ভাঙে দিল্লি ওপেনিং জুটি। রাশিদ খানের বলে ৩৮ রান করে আউট হন তিনি। এরপর ক্রিজে আসেন শ্রেয়স আইয়র। এরই মধ্যে নিজের অর্ধশতরানও পূরণ করেন শিখর ধওয়ান। ১০ ওভার শেষে দিল্লির স্কোর দাঁড়ায় ১ উইকেটে ১০২ রান।  

 এরপর দিল্লির ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান শ্রেয়স আইয়র ও শিখর ধওয়ান জুটি। কিন্তু এদিন ব্যাট হাতে খুব একটা সফল হননি শ্রেয়স আইয়র। ১৪ তম ওভারে জেসন হোল্ডারের শিকার হন তিনি। ২১ রান করেন দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক। এরপর ক্রিজে আসেন শেমরন হেটমায়ার। ১৫ ওভারে আসে ১২ রান। ওভার শেষে দিল্লির স্কোর দাঁড়ায় ২ উইকেটে ১৩৯। এরপর রানের গতিবেগ বাড়ানোর চেষ্টা করেন হেটমায়ার ও ধওয়ান। আক্রমণাত্বক খেলতে শুরু করেন দুজন। বিশেষ করে ক্যারিবায়ন তারকা হেটমায়ার বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন। ১৯ তম ওভারে সন্দীপ শর্মার বলে আউট হন শিখর ধওয়ান। ৫০ বলে ৭৮ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ১৯ তম ওভারে উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি মাত্র ৬ রান দেন সন্দীপ শর্মা। দিল্লির স্কোর দাঁড়ায় ১৮২ রানে ৩ উইকেট। শেষ ওভারেও আসে মাত্র ৭ রান। ২০ ওভার শেষে দিল্লির স্কোর দাঁড়ায় ১৮৯ রান। ৪২ রানে অপরাজিত থাকেন হেটমায়ার। 

১৯০ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। দ্বিতীয় ওভারেই কাগিসো রাবাডার বলে আউট হন ডেভিড ওয়ার্নার। ২ রান করে আউট হন তিনি। এরপর ক্রিজে আসেন মনীশ পাণ্ডে। প্রিয়ম গর্গের সঙ্গে ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন দুজন। বেশ কয়েকটি আক্রমণাত্বক শটও খেলেন দুজন। কিন্তু সেই পার্টনারশিপ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। পঞ্চম ওভারেই মার্কাস স্টয়নিসের শিকার হন প্রিয়ম গর্গ। ১২ রান করেন তিনি।     তৃতীয় উইকেট পেতে অবশ্য বেশি অপেক্ষা করে হয়নি দিল্লিকে। একই ওভারে মণীশ পাণ্ডেকেও প্যাভেলিয়বে ফেরত পাঠান স্টয়নিস। ২১ রান করেন মণীশ পাণ্ডে। এরপর সানরাইজার্সের ইনিংসের রাশ ধরেন জেসন হোল্ডার ও কেনন উইলিয়ামসন। হোল্ডার একটু ধীর গতিতে খেললেও, উইলিয়ামসন সুযোগ পেলে আক্রমণাত্বক শট খেলেন।  ধীরে ধীরে তারা এগিয়ে নিয়ে যান সানরাইজার্সের স্কোর বোর্ড। ১০ ওভার শেষে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের স্কোর দাঁডায় ৭৫ রানে ৩ উইকেট।

৪৬ রানের পার্টনারশিপ করার পর ১২ তম ওভারে চতুর্থ উইকেট পড়ে হায়দরাবাদের। অ্যাক্সর প্যাটেলের বলে ১১ রান করে আউট হন জেসন হোল্ডার। একরপর ক্রিজে আসেন আবদুল সামাদ। অপরদিক থেকে নিজের ইনিংস চালিয়ে যান কেন উইলিয়ামসসন। ১৪ তম ওভারে নিজের অর্ধশতরানও পূরণ করেন তিনি। ৩৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন উইলিয়ামসন। ক্রিজে নেমে আক্রমণাত্ব ভঙ্গিতে ব্যাট করে শুরু করেন আবদুল সামাদ। ১৫ ওভার শেষে সানরাইজার্সের স্কোর দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ১২৯। ১৬ তম ওভারে আসে ১০ রান। শেষে চার ওভারে হায়দরবাদারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ৫২ রান। কিন্তু ১৭ তম ওভারে মার্কাস স্টয়নিসের বলে আউট হন  কেন উইলিয়ামসন। ৬৭ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন তিনি। ১৭  ওভার শেষে দায়দরাবাদের স্কোর দাঁড়ায় ১৪৮ রানে ৫ উইকেট। কিন্তু আক্রমণাত্বক ইনিংস চালিয়ে যান আবদুল সামাদ। তাকে সঙ্গ দেন রাশিদ খান। কিন্তু ১৯ তম ওভারে  ৩ উইকেট নিয়ে সানরাইজার্সের সব স্বপ্ন শেষ করে দেন রাবাডা। ৩৩ রান করে আউট হন সামাদ, ১১ রান করে আউট হন রাশিদ খান ও খাতা না খুলেই প্যাভেলিয়নে ফেরত যান শ্রীবৎস গোস্বামী। শেষ ওভারে ২২ রান দরকার ছিল হায়দরাবাদের। কিন্তু ১৭২ রানে ৮ উইকেটে শেষ হয় ডেভিড ওয়ার্নারের দলের ইনিংস।  ১৭ রানে ম্যাচ জিতে আইপিএলের ইতিহাসে প্রথমবার ফাইনালে পৌছল দিল্লি ক্যাপিটালস। ১০ তারিখ ফাইনালে মুখোমুখি মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও দিল্লি ক্যাপিটালস।