সংক্ষিপ্ত
- আইএসএলে কেরালা ব্লাস্টার্স বনাম এসসি ইস্টবেঙ্গল ম্যাচ
- দুই দলের কাছে এখনও অধরা থেকে গেল আইএসএলে প্রথম জয়
- এদিন ৯০ মিনিট পর্যন্ত ১ গোলে এগিয়ে ছিল রবি ফাউলারের দল
- কিন্তু ইনজুরি টাইমের গোলে জয় অধরাই থেকে লাল-হলুদের
ফের তীরে এসে ডুবল এসসি ইস্টবেঙ্গলের তরী। ষষ্ঠ ম্যাচেও জয় অধরা থেকে গেল রবি ফাউলারের দলের। মরসুমের প্রথম জয়ের অপেক্ষায় যখন আর কিছু সেকেন্ডের প্রহর গুনছিলেন ইস্টবেঙ্গল প্লেয়ার, কোচ থেকে শুরু করে অসংখ্য সমর্থকরা, ঠিক তখনই শেষ মুহূর্তে কেরালার গোলে এক পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল লাল-হলুদ ব্রিগেডকে। নির্ধারিত সময়ের শেষে খেলার ফল ১-১। এই ড্রয়ের ফলে লিগ টেবিলের শেষ স্থান থেকে একধাপ উপরে উঠে এল এসসি ইস্টবেঙ্গল।
এদিন ম্যাচ শুরু থেকেই টানটান উত্তেজনায় শুরু হয় খেলা। অনুশীলন ম্যাচে এসসি ইস্টবেঙ্গলের কাছে হারতে হয়েছিল কেরালাকে। সেই ম্য়াচের রেজাল্ট ভুলে সমানে সমানে লড়াই দেওয়ার চেষ্টা করে কিবু ভিকুনার দল। দুই দলই প্রথম থেকেই রক্ষণ সামলে আক্রমণে যাওয়ার পরিকল্পনা নেয়। ইস্টবেঙ্গল রক্ষণকে ভরসা দেওয়াপ জন্য এদিন চোট সারিয়ে দলে ফেরেন ড্যানি ফক্স। হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচের ১৩ মিনিটেই ভাগ্য সাথ দেয় রবি ফাউলারের দলে। নিশু কুমারের আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় লাল-হলুদ ব্রিগেড। গোল হজম করার পর প্রথমার্ধে একাধিক চেষ্টা করলেও গোল শোধ করতে পারেননি কেরালা ব্লাস্টার্সের হুপার, প্রবীণ, গোমেজ, পেরেইরারা।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের মাত্রা আরও বাড়ায় কিবু ভিকুনার দল। একের পর এক আক্রমণ আছড়ে পড়তে থাকে ইস্ট বেঙ্গলের বক্সে। এদিনও বেশ কয়েকবার নড়বড়ে দেখায় লাল-হলুদ রক্ষণকে। কয়েকটি গোলের সুযোগ তৈরি করে রবি ফাউলারের দলও। সেগুলি কাজে লাগাতে পারলে খেলার ফল অন্যরকম হতে পারত। নির্ধারিত ৯০ মিনিটেও খেলার ফল ছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল ১ ও কেরালা ব্লাস্টার্স ০। কিন্তু ইনজুরি টাইমের ৯৫ মিনিটে জিকসন সিংয়ের গোলে সমতায় ফেরে কেরালা ব্লাস্টার্স। হাতের সামনে থেকে জয় বেরিয়ে যাওয়াক ম্যাচ শেষে পর হতাশ দেখায় লাল-হলুদ প্লেয়ার থেকে কোচ রবি ফাউলারকে। প্রিয় দল প্রথম জয় কবে পাবে সেই অপেক্ষা আরও দীর্ঘ হল লাল-হলুদ সমর্থদকদের।