সংক্ষিপ্ত
- লকডাউনে একজন 'গৃহবন্দি'
- 'ত্রাণ বিলিতে বাধা' অন্যজনকে
- সরকারের ভূমিকায় ক্ষুদ্ধ দুই বিজেপি সাংসদ
- বাড়ির সামনে বসলেন ধর্নায়
একজন 'গৃহবন্দি', আর ত্রাণ বিলি করতে গিয়ে 'পুলিশি বাধা'র মুখে পড়েছেন অন্য়জন। লকডাউনে বাজারে এবার ধর্নায় বসলেন বিজেপি-র দুই সাংসদ। ঘটনায় শোরগোল পড়েছে জলপাইগুড়িতে।
জলপাইগুড়ি শহরের পাহাড়িপাড়া এলাকায় থাকেন সাংসদ জয়ন্ত রায়। পেশায় তিনি চিকিৎসক। শুক্রবার সকালে যখন সাইকেলে চেপে রোগী দেখতে বেরোন, তখন রাস্তায় সাংসদকে পুলিশ দু'বার আটকায় বলে অভিযোগ। জয়ন্ত রায়ের দাবি, দিল্লি থেকে ফেরার পর হোম কোরায়েন্টাইনে ছিলেন। কোয়ারেন্টাইনের মেয়াদ শেষ হয়ে দিয়েছে। তাহলে কেন আটকাল পুলিশ? সাংসদের অভিযোগ, শাসকদলের নির্দেশেই তাঁকে গৃহবন্দি করে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। বাড়ির সামনে সর্বক্ষণ পাহারা দিচ্ছেন পুলিশকর্মীরা। ঘটনার প্রতিবাদে বাড়ির সামনেই ধর্নায় বসেন জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায়।
আরও পড়ুন: রেশন নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় 'ভুল তথ্য' পোস্ট, গ্রেফতার বিজেপি-র সহ-সভাপতি
আরও পড়ুন: সর্বকালীন রেকর্ড ভেঙে দিল লকডাউনে মদ বিক্রির প্রথম ৩দিন, তাও অনলাইন চাইছেন না মালিকরা
এদিকে শুক্রবার আবার জলপাইগুড়ির বানারহাটের লক্ষ্মীপাড়া চা বাগানে ত্রাণ বিলি করতে যান আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লা। কিন্তু তাঁকেও পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয় বলে অভিযোগ। সাংসদ বলেন, তৃণমূল নেতাদের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হচ্ছে না। কিন্ত বিজেপি নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের লকডাউনের অজুহাত দেখিয়ে ত্রাণ বিলিতেও বাধা দিচ্ছে পুলিশ। ফিরে এসে বাড়ি সামনে ধর্নায় বসে পড়েন আলিপুরদুয়ারের সাংসদও।
উল্লেখ্য, গত মাসের গোড়ার দিকে বিজেপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীর আবাসনে কোরায়েন্টাইন নোটিশ লাগানো কেন্দ্র তুমুল বিতর্ক হয় উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে গৃহবন্দি করে রাখার চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছিলেন দেবশ্রীও।