সংক্ষিপ্ত
- বেআইনি চোলাই নিয়ে সচেতনতা শিবিরের উদ্যোগ নিল আবগারি দপ্তর
- 'চোলাইয়ের অপকারিতা' বিষয় নিয়ে প্রচার শুরু করলেন আবগারি দপ্তর
- বেআইনি চোলাই ও পোস্ত চাষের বিরুদ্ধে অভিযান উদ্যোগ নেওয়া হয়
- হ্যান্ডবিল বিলি ও মাইকিংয়ে সচেতনতা শিবির করেন আবগারি দপ্তর
বেআইনি চোলাই নিয়ে সচেতনতা শিবিরের উদ্যোগ নিল আবগারি দপ্তর। উল্লেখ্য়, কয়েক সপ্তাহ আগে জঙ্গলমহলের বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায় চাষের জমির ভিতর লুকিয়ে চাষ করা পোস্ত নষ্ট করে ছিলেন ঝাড়গ্রাম এর জেলাশাসক এ আয়েশা রানি। এবার তাঁর উদ্যোগেই আবগারি দপ্তর এর আধিকারিক কর্মীরা ঘুরতে শুরু করলেন জঙ্গলমহলের হাটে হাটে। 'চোলাইয়ের অপকারিতা' বিষয় নিয়ে প্রচার শুরু করলেন তারা।
আরও পড়ুন, 'রেইবো সানডে'-তে দেবারতি-র 'সাঁঝবাতি', ফ্য়াশন শো-এ বাজিমাত এলজিবিটি কমিউনিটি
সোমবার ঝাড়গ্রামের বিনপুর হাটে চোলাই বিক্রি নিয়ে অভিযান চালায় আবগারি দফতরের কর্মীরা। সেই সঙ্গে চোলাই -এ ক্ষতি নিয়ে প্রচার করতে হ্যান্ডবিল বিলি ও মাইকিংয়ে সচেতনতা শিবির করেন তারা। আবগারি দফতরের আধিকারিকরা জানান যে, ঝাড়গ্রাম জেলার জঙ্গলমহলে থাকা সমস্ত হাটে এভাবে প্রচার করা হবে। ঝাড়গ্রাম জেলার বেশিরভাগ এলাকাই জঙ্গল মহলের অন্তর্ভুক্ত। যার বেশিরভাগ বাসিন্দাই আদিবাসী ও লোধা শবর সম্প্রদায়ের মানুষজন। জঙ্গলমহলের এই প্রান্তিক বাসিন্দারা স্থানীয় স্তরে তৈরি চোলাই খেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হন। গত এক বছর আগে লালগড়ের পূর্ণাপানিতে এমন এক করুণ চিত্র উঠে এসেছিল প্রশাসনের পরিদর্শনে।
আরও পড়ুন, বাড়ি ফেরার সব পথ বন্ধ, 'দমবন্ধকর অবস্থা'য় ইরান থেকে ভিডিও বার্তা কলকাতার ছেলের, দেখুন
সূত্রের খবর, এমন একাধিক দিক খতিয়ে দেখে ঝাড়গ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বেআইনি চোলাই ও পোস্ত চাষের বিরুদ্ধে অভিযান উদ্যোগ নেওয়া হয়। উল্লেখ্য়, প্রথম দিন জেলাশাসক এ আয়েশা রানি নিজে মাঠে নেমে পোস্ত চাষ নষ্ট করেছিলেন। এরপর জেলাশাসকের উদ্যোগেই জঙ্গলমহলে চলা বিভিন্ন হাটে ঘুরে ঘুরে বেআইনি চোলাই নিয়ে সচেতনতা শিবির এর উদ্যোগ নিল আবগারি দপ্তর।
আরও পড়ুন, দিল্লিতে পরিকল্পিতভাবে গণহত্যা হয়েছে, হিংসা নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ মমতার