সংক্ষিপ্ত

কলকাতা বিমানবন্দরে কুকুরের কামড়ের শিকার শিশু-বিমানকর্মী-যাত্রী-সহ ১৩ জন। স্বাভাবিকভাবেই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এমন ঘটনা ঘটায় রীতিমত আতঙ্ক তৈরি হয়েছে বিমানযাত্রী-সহ কর্মীদের মনেও। 

কলকাতা বিমানবন্দরে কুকুরের কামড়ের শিকার শিশু-বিমানকর্মী-যাত্রী-সহ ১৩ জন। স্বাভাবিকভাবেই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এমন ঘটনা ঘটায় রীতিমত আতঙ্ক তৈরি হয়েছে বিমানযাত্রী-সহ কর্মীদের মনেও। দেশের অন্যতম ব্যস্ত জনবহুল বিমানবন্দর এটি। প্রতিদিন এই বিমানবন্দরে দেশ-বিদেশ থেকে যাত্রীরা চলাফেরা করেন। তবে এমন ঘটনায় যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে কথা উঠেছে। আহতদের ইতিমধ্যেই একটি স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। খবর গিয়েছে এনসিবিআই থানায়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বন দফতরকেও খবর পাঠিয়েছে কলকাতা বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ।

বিমানবন্দরের বেসমেন্টেই যত কাণ্ড

বিমানবন্দর সূত্রে খবর, বেসমেন্টে বিমানবন্দর কর্মীদের ডিউটি তালিকা করার অফিস রয়েছে। সেখানেই কর্মীদের স্বাক্ষর করতে যেতে হয়। এবং বেসমেন্টে কর্মীদের ব্যাগ-পত্র রাখবার জায়গা রয়েছে। রিফ্রেশরুমও সেখানেই। দিনের অধিকাংশ সময়েই কর্মীরা এখানে যাতায়াত করেন। আর ঠিক এখানেই ঢুকে কামড় দিচ্ছে। বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাত ৯ নাগাদ আচমকাই বেসমেন্টে কুকুরের তাণ্ডব শুরু হয়। তিনটি কুকুর কামড়ায় বিমানবন্দরের কর্মীদের।কুকুরের কামড়ের শিকার হয়েছে  বিমানকর্মী-যাত্রী-সহ ১৩ জন। এদের মধ্যে একজন শিশুও রয়েছে। আহতদের ইতিমধ্যেই একটি স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।  এনসিবিআই থানায় খবর পাঠান এয়ারপোর্ট ম্যানেজার। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বন দফতরকেও খবর পাঠিয়েছে কলকাতা বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন, ঝালদায় 'শ্লীলতাহানি'-র অভিযোগ তুললেন নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলরের স্ত্রী, কাঠগড়ায় পুলিশ কর্তা

  কুকুরের দল কামড়াল কী করে, কেন ওই কুকুরদের ধরা গেল না ?

এখন প্রশ্ন উঠেছে এত বিমানবন্দর কর্মী , যাত্রীদেরকে কুকুরের দল কামড়াল কী করে, কেন ওই কুকুরদের ধরা গেল না। প্রসঙ্গত, এর আগে পাখির উপদ্রব একাধিকবার দেখা গিয়েছে। বিমান চালাতে গিয়ে অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছন পাইলট। দেখা গিয়েছে শেয়াল। তবে কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কুকুরের কামড় খাওয়াটাকে প্রায় বিশ্বাস করতে পারছেন না , অনেক যাত্রী। সাধারণত এরাজ্যে কুকুদের যাতায়াতটা প্রায় সর্বত্র। শপিংমল থেকে শুরু করে হাসপাতাল চত্ত্বরেও এদের অবাধ প্রবেশ। তবে কখনও কখনও হাসাপাতালের ওয়ার্ডেও ঢুকে পড়ে এই কুকুরাই। প্রসুতি বিভাগেও কুকুর ঢুকে পড়ার ঘটনা এরাজ্যে ঘটেছে। 

আরও পড়ুন, আজ ছুটির দিনে ভিজবে কি তিলোত্তমা, তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস পশ্চিমবঙ্গ-সহ পশ্চিমভারতেও

সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন

তবে এই ঘটনায় সবচেয়ে বড় কথা ১ জন আক্রান্ত হওয়ার পরেও কি নড়েবসেনি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। পরপর ১৩ কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত হবার পরেই কি হুশ ফিরেছে কর্তৃপক্ষের।প্রশ্ন উঠেছে। স্বাভাবিকভাবেই কুকুরের কামড় খেলে একদিনের ওষুধে কাজ মেটে না। একটা নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনটেন করে পর পর ইনজেকশন দিতে হয়। এবার প্রশ্নটা হচ্ছে,  বিমানবন্দর কর্মীরা প্রত্য়েকই জরুরী পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত। এতজন একসঙ্গে কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত হওয়ায় উদ্বেগ বেড়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষেরও।