সংক্ষিপ্ত

টানা ১০ দিন ধরে শহিদ মিনারের কাছে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন এসএসসি-র শারীরশিক্ষা-কর্মশিক্ষার চাকরিপ্রার্থীরা। চার দিন ধরে তাঁরা রিলে অনশন করছেন। রবিবার সকালে তাঁদের চার জনের একটি প্রতিনিধি দল মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ডেপুটেশন জমা দিতে যান। 

কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে বাড়িতে ডেপুটেশেন দিতে গিয়েছিলেন চারজন এসএসসি শারীরশিক্ষা-কর্মশিক্ষার চাকরিপ্রার্থী। কিন্তু, সেখানে গিয়ে আটক হন তাঁরা। তাঁদের সঙ্গে সিভিক ভলেন্টিয়াররা দুর্বব্যহার করেছেন বলে অভিযোগ। আটক করে আন্দোলনকারীদের লালবাজারে নিয়ে যায় পুলিশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে রবিবাসরীয় সকালে। 

নাম উঠেছে মেধা তালিকায়। কিন্তু, তারপর অনেক দিন কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত নিয়োগপত্র হাতে পাননি। অবশ্য রাজ্যে এই ধরনের অভিযোগ প্রথম নয়। এমন অভিযোগ অনেক রয়েছে। আর এনিয়ে মামলাও চলছে। কিন্তু, তারপরও পরিস্থিতি ঠিক হয়নি। এই অবস্থার মধ্যেই ধর্মতলায় বিক্ষোভ দেখান একাধিক চাকরিপ্রার্থী। টানা ১০ দিন ধরে শহিদ মিনারের কাছে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন এসএসসি-র শারীরশিক্ষা-কর্মশিক্ষার চাকরিপ্রার্থীরা। চার দিন ধরে তাঁরা রিলে অনশন করছেন। রবিবার সকালে তাঁদের চার জনের একটি প্রতিনিধি দল মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যান ডেপুটেশন জমা দিতে। কিন্তু সেখানে তাঁদের বাধা দেন কর্তব্যরত সিভিক ভলেন্টিয়াররা। অভিযোগ, সেখানে তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন একাধিক সিভিক ভলেন্টিয়ার। এমনকী, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করেন। এরপর কালীঘাট থানার পুলিশ আটক করে এই চারজনকে। এরপর তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় লালবাজারে। এই ঘটনার প্রতিবাদে ধর্মতলায় শহিদ মিনার চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল করেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের চাকরি প্রার্থীরা। চারজনের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করেছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন- হাঁসখালিকাণ্ডে ডিএনএ-কেই হাতিয়ার করল সিবিআই, ধৃত ও নির্যাতিতার পরিবারের নমুনা যাবে দিল্লিতে

এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভে কারণে আজ উত্তেজনা ছড়ায় ধর্মতলায়। কেউ রাস্তায় বসে পড়েন, কেউ রাস্তায় শুয়ে পড়ে ঘটনার প্রতিবাদ জানান। কেউ আবার পোস্টার, প্ল্যাকার্ড হাতে ধরে বসে থাকেন রাস্তার উপর। দীর্ঘক্ষণ রোদে থাকার ফলে পাঁচজন চাকরিপ্রার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের নিয়ে যাওয়ার এসএসকেএম হাসপাতালে। একদিকে রোজা, তার উপর আবার চড়া রোদের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ বসে বিক্ষোভ দেখানোর ফলে অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁরা। আন্দোলনকারীদের দাবি, চাকরি না পাওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবেন তাঁরা। প্রয়োজনে রাস্তার উপরই তাঁরা মৃত্যু বরণ করে নেবেন।

আরও পড়ুন, নাবালিকাকে বাড়িতে ডেকে গোপনাঙ্গ স্পর্শ প্রতিবেশীর, হাঁসখালির পর উত্তাল এবার একাবালপুর

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে এই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। ২০১৯ সাল থেকে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। এই নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে আন্দোলন করছে এসএসসি যুব মঞ্চ। অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী তিনবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, কিন্তু এরপরেও তাঁরা চাকরি পাননি। তাই কলকাতার রাজপথে বসেছেন হবু শিক্ষকরা। এখন মাতঙ্গিনী হাজরা মূর্তির পাদদেশে বসে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন চাকরিপ্রার্থীরা।

আরও পড়ুন, 'আমাকে বলেছিল, ধর ওকে রেপ করব', হাঁসখালিকাণ্ডে সিবিআই-র কাছে এল ভয়াবহ তথ্য

অভিযোগ, মেধা তালিকাভুক্ত হওয়ার পরেও তাঁরা বঞ্চিত। তাঁরা অভিযোগ করেছেন, মুখ্যমন্ত্রী একাধিকবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাঁরা চাকরি পাননি। সেই কারণেই তাঁদের এই প্রতিবাদ কর্মসূচি। এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, "খুবই স্পর্শকাতর বিষয়। যাঁরা যোগ্য তাঁদের রোদে শুয়ে থাকতে হচ্ছে। আর মন্ত্রীর আত্মীয়রা চাকরি পেয়ে যাচ্ছেন।"