সংক্ষিপ্ত
কলকাতা ইসকন মন্দিরের ভাইস প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র দাস জানিয়েছেন, বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনায় তাঁরা রাষ্ট্রসংঘের দ্বারস্থ হওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন।
দূর্গা পুজোর (Durga Puja) সময় বাংলাদেশে (Bangladesh) সংখ্যলঘু হিন্দুদের (Hindu) ওপর হিংসার ঘটনার আঁচ পড়েছিল বাংলাদেশের ইসকন (ISKCON) মন্দিরে। নোয়াখালিতে ইসকনের একটি মন্দিরে হামলার চালিয়েছিল এক দল দুষ্কৃতী। ভক্তদের মারধরের পাশাপাশি মন্দিরেও তাণ্ডব চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনার প্রতিবাদে সামিল হয়েছে গোটা বিশ্বের ইসকন মন্দিরগুলি। শনিবার বিশ্বের প্রায় ১৫০টি দেশে ৭০০র বেশি ইসকনের মন্দিরে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
কলকাতা ইসকন মন্দিরের ভাইস প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র দাস জানিয়েছেন, বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনায় তাঁরা রাষ্ট্রসংঘের দ্বারস্থ হওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। তিনি আরও বলেছেন গত তিন দিনে হিংসার ঘটনায় আরও তিন জনের মৃত্য়ু হয়েছে। এদিন বাংলাদেশের হামলার ঘটনার প্রতিবাদে কলকাতাসহ গোটা বিশ্বজুড়ে ইসকনমন্দিরগুলি যে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবে তাও জানিয়ে দেন তিনি। তিনি বলেছেন, প্রতিবাদ কর্মসূচিতে শান্তি ফেরানোর জন্য প্রার্থনাও করা হবে। ইসকনের তরফ থেকে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদশের একাধিক জেলায় হিন্দুদের ওপর ক্রমাগত আক্রমণের ঘটনা ঘটছে।বাড়ি দোকান ভাঙচুর করা হচ্ছে। সাধারণ হিন্দু নাগরিকদের হত্যাও করা হচ্ছে। এই ঘটনার প্ররিপ্রেক্ষিতে বংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জিও জানিয়েছে তারা।
Amit Shah: তিন দিনের কাশ্মীর সফরে অমিত শাহ, নিহত পুলিশ আধিকারিকের বাড়িতে গিয়ে স্ত্রীকে সমবেদনা
বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক হিংসা এই প্রথম নয়, স্বাধীনতারপর থেকেই কমছে হিন্দুদের সংখ্যা
Travel: এই বাসে উঠলেই বুজে আসবে দুই চোখের পাতা, 'স্লিপিং বাস' সফর ঘিরে বাড়ছে আগ্রহ
আজ বাংলাদেশের ঘটনার প্রতিবাদে পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর শহরে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ মিছিল আয়োজন করে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘের রঘুনাথপুর শাখার সদস্যরা। এদিন রঘুনাথপুর এর বিডিও অফিস প্রাঙ্গণ থেকে এই রেলি শুরু হয়ে রঘুনাথপুর শহর পরিক্রমা করে।এদিনের এই প্রতিবাদ সমাবেশে ইসকন মায়াপুরের ব্রহ্মচারী সোনার চৈতন্য প্রভু জানান। বাংলাদেশে মন্দির ভাঙচুর ও ইসকন মন্দিরে হামলার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাতে এই পদযাত্রা আয়োজন করা হয় ।পাশাপাশি রঘুনাথপুর থানা এলাকার মঙ্গলদা এলাকাতেও একটি মিছিল করা হয়।এদিন আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘের এক সদস্য বলেন।সনাতনী সম্প্রদায় সুরক্ষিত নন।তাই শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর ভাবাদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বাংলাদেশে মন্দির ভাঙচুর ও ইসকন মন্দিরে হামলার ঘটনার বিরুদ্ধে হরিনাম সংকীর্তনের মধ্য দিয়ে প্রতিবাদ জাননো হল।