সংক্ষিপ্ত
জঙ্গি সংগঠনকে অর্থ যোগানের অভিযোগে আধুনিক পাওয়ারের প্রাক্তন ম্যানেজিং ডিরেক্টর মহেশ আগরওয়াল গ্রেফতার করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। সল্টলেকের বাড়ির সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয় বলে সূত্রের খবর।
জঙ্গি সংগঠনকে অর্থ যোগানের অভিযোগে শহরে এনআইএ-র জালে মহেশ আগরওয়াল। জঙ্গি সংগঠনকে অর্থ যোগানের অভিযোগে আধুনিক পাওয়ারের প্রাক্তন ম্যানেজিং ডিরেক্টর মহেশ আগরওয়ালকে গ্রেফতার (Arrest) করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ (NIA)। অভিযুক্তকে সল্টলেকের বাড়ির সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয় বলে সূত্রের খবর। বুধবার তাকে আদালতে পেশ করা হবে। এনআইএ তাকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে।
জানা গিয়েছে, রাঁচি এনআইএ গোয়েন্দারা একটি মাওবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছিলেন। সেখানেই এই অর্থ যোগানের যোগযোগ খুঁজে পান গোয়েন্দারা। ওই তদন্ত সূত্রেই তাঁরা জানতে পারেন যে ওই অর্থের যোগাট গিয়েছে কলকাতার এক ব্যবসায়ীর থেকে। এরপরেই আরও সক্রিয়ভাবে খোঁজ শুরু করা হয় কলকাতার ওই ব্যবসাদারকে। এরপরেই কলকাতায় এনআইএ-র গোয়েন্দারা আধুনিক পাওয়ারের প্রাক্তন ম্যানেজিং ডিরেক্টর মহেশ আগরওয়ালের বাড়ির সন্ধান সন্ধান পান। তারপর আর মুহূর্তে দেরি করেননি গোয়েন্দারা। পুরো টিম নিয়ে সল্টলেক পৌছে, নিজের বাড়ির সামনে থেকে মহেশকে পাকড়াও করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। উল্লেখ্য, মামলায় ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডক্টর রবি রঞ্জন এবং বিচারপতি এসএন প্রসাদের আদালত মঙ্গলবার আধুনিক পাওয়ারের প্রাক্তন এমডি মহেশ আগরওয়াল এবং পরিবহনকারী অমিত আগরওয়াল এবং বিনীত আগরওয়ালকে কোনও ছাড় দিতে অস্বীকার করে। এই মামলায় যুক্তি তর্ক শেষ হওয়ার পরে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট সমস্ত পুরানো স্থগিতাদেশ বাতিল করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন, Drug Peddlers In Kolkata: প্রায় ২ কেজি চরস সহ কলকাতায় পুলিশের জালে ২ মাদক পাচারকারী
হাইকোর্টের এই আদেশের পরই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করায় কোনও বাধা ছিল না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। জানা গিয়েছে, আধুনিক পাওয়ারের প্রাক্তন এমডি মহেশ আগরওয়ালের পাশাপাশি পরিবহণকারী অমিত আগরওয়াল এবং বিনীত আগরওয়াল তিনজনের বিরুদ্ধেই মগধ আম্রপালি প্রকল্পে জঙ্গি সংগঠনকে অর্থ যোগানের অভিযোগে তদন্ত করছে এনআইএ। বাকি দুজনের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে এনআইএ। উল্লেখ্য, এর আগে শুনানির সময় আবেদনকারীদের পক্ষে আদালতকে বলা হয়, পুরো বিষয়টিতে তাঁদের কোনও যোগাযোগ নেই। একই সঙ্গে একই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন অভিযুক্ত সুদেশ কেদিয়া। সুপ্রিম কোর্ট স্বীকার করেছে যে তার বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে মামলা করা হয়নি, তবে বিচার চলবে।
মগধ ও আম্রপালি প্রকল্পে কয়লা লোডিং এবং খনির জন্য কাজ করা সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে জঙ্গি সংগঠন টিপিসিকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া সহ অনেক গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এনআইএ অর্থাৎ ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি এই মামলার তদন্ত করছে। সেই মামলার তদন্তেই মঙ্গলবার অভিযুক্তকে নিজের বাড়ির সামনে থেকে গ্রেফতার করে এনআইএ। বুধবার তাকে আদালতে পেশ করা হবে। সূত্রের খবর, এনআইএ তাকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে।
.