সংক্ষিপ্ত

আপাতত এখন চিড়িয়াখানায় মোট জেব্রার সংখ্যা ৮ টি। তার মধ্যে তিনটি ছেলে জেব্রা এবং পাঁচটি মেয়ে জেব্রা। তাদের মধ্যেই অনন্যা নামক জেব্রাটি জন্ম দিয়েছে একটি ফুটফুটে ছোট্ট জেব্রার।

শীত(Winter) পড়তেই ভ্রমণ পিপাসু মানুষের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে চিড়িয়াখানায়(Alipore Zoo)। কচিকাচাদের নিয়ে ছুটিক দিনে অনেকেই ছুটে যাচ্ছে আলিপুরে। কেউ মেতে উঠছেন বাঘ নিয়ে, তো কেউ সিংহ। এদিকে আর কিছুদিন পরেই আসছে বড়দিন(Christmas)। তারপরেই রয়েছে নববর্ষ(New Year)। দুইয়ে মিলিয়ে আগামী দিনেও যে চিড়িয়াখানায় আরও বেশি মানুষের ঢল নামতে চলেছে তা বলাই বাহুল্য। এমতাবস্থায় এবার আলিপুর চিড়িয়াখানয় নতুন অতিথির আগমণেই পড়েছে সাড়া। জন্ম নিল একটি জেব্রার বাচ্চা(zebra cubs)। জন্মানোর পর মা এবং বাচ্চাকে আলাদা করে রেখেছিল চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার ৯ ডিসেম্বর বাকি জেব্রাদের সঙ্গে বাচ্চা এবং মা’‌কে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে নতুন বাচ্চা দেখতে যে অচিরেই চিড়িয়াখানায় নামবে মানুষের ঢল তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।  

এদিকে আপাতত এখন চিড়িয়াখানায় মোট জেব্রার সংখ্যা ৮ টি। তার মধ্যে তিনটি ছেলে জেব্রা এবং পাঁচটি মেয়ে জেব্রা। তাদের মধ্যেই অনন্যা নামক জেব্রাটি জন্ম দিয়েছে একটি ফুটফুটে ছোট্ট জেব্রার। আপাতত মা এবং সন্তান উভয়ই চিড়িয়াখানার ডাক্তারদের তত্ত্বাবধানে রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। চিড়িয়াখানা যেহেতু বৃহস্পতিবার বন্ধ থাকে তাই ভিড়ভাট্টা না থাকার কারণেই এদিন তাদের ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। আলিপুর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের মতে অনেক সময় ছোট বাচ্চারা দলে সহজে মিশতে পারে না। ফলে অনেকেই বিরক্ত বোধ করে। এদিন প্রথমদিকে মা জেব্রা একটু বিরক্ত হচ্ছিল, পরে আস্তে আস্তে দুজনেই স্বাভাবিক হয়ে যায়। এমনকী দিন থেকে বাচ্চাটি মায়ের দুধ খাওয়াও শুরু করে দিয়েছে।

আরও পড়ুন-পরকীয়ার জের, প্রকাশ্য রাস্তায় মহিলাকে বেধড়ক মার, চলল লাথি-অকথ্য গালিগালাজ

তবে নতুন জেব্রা সদস্যের নাম কী হবে তা এখনও পর্যন্ত চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ ঠিক করেনি বলে খবর। এদিকে বিগত কয়েকদিন ধরেই চিড়িয়াখানায় চলছে নানা রকম ডেভেলপমেন্টের কাজ। আশা করা হচ্ছে, এই শীতেই সমস্ত কাজ শেষ হয়ে যাবে। জেব্রার বাচ্চা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে আলিপুর চিড়িয়াখানার ডাইরেক্টর আশিষ সামন্ত জানান,আমরা দেখেছি অধিকাংশ সময়েই এই কাজে ব্যস্ত থাকার জন্য মা তার বাচ্চার দিকে নজর দিতে পারে না। ফলে বাচ্চা থাকে একা এবং সে মায়ের দুধও খেতে পারে না। শরীর খারাপ হয়ে যেতে পারে। তাই তাদের দু’‌জনকেই এর জন্য আলাদা করে দেওয়া হয়। অন্যদিকে চিড়িয়াখানায় যে সকল পশুপাখিদের ঘর রয়েছে সেগুলো এখন অনেকটাই উন্নত করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান। পাশাপাশি চিড়িয়াখানার সৌন্দার্যায়নের উপরেও নতুন করে জোর দেওয়া হচ্ছে। শিম্পাঞ্জির ঘর থেকে শুরু করে জিরাফের ঘর সবগুলোই আরও উন্নত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।