সংক্ষিপ্ত
ডিএ মামলায় আবারও রাজ্যের হার হাইকোর্টে। সূত্রের খবর এবার সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার চিন্তাভাবনা রাজ্য সরকারের। তেমনই প্রস্তুতি শুরু করেছে নবান্ন। দীর্ঘ ৬ বছর ধরে ডিএ বা মহার্ঘ্য ভাতার দাবিতে আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। কেন্দ্রীয় সরকারের হারে ডিএ-র দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
ডিএ মামলায় আবারও রাজ্যের হার হাইকোর্টে। সূত্রের খবর এবার সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার চিন্তাভাবনা রাজ্য সরকারের। তেমনই প্রস্তুতি শুরু করেছে নবান্ন। দীর্ঘ ৬ বছর ধরে ডিএ বা মহার্ঘ্য ভাতার দাবিতে আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। কেন্দ্রীয় সরকারের হারে ডিএ-র দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। তবে হাইকোর্ট আগেই রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ মিটিয়ে দেওয়া ও কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মীদের হারে ডিএ দেওয়ার পক্ষেই রায় দিয়েছিল। কিন্তু রাজ্যের পক্ষ থেকে জানান হয়েছিল আর্থিক সমস্যা থাকায় কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের হারে ডিএ দিতে পারবে না তারা। তারপরই কলকাতা হাইকোর্টের রায় পুনর্বিবেচনার দাবি নিয়ে আবারও আদালতের দ্বারস্থ হয়। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়ই বহাল রাখে।
কলকাতা হাইকোর্টের রায় গেল রাজ্য সরকারি কর্মীদের পক্ষে। কারণ রাজ্য সরকারি কর্মীরা কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল। দীর্ঘ ৬ বছর ধরে চলছিল ডিএ মামলা। তবে রাজ্য সরকারি কর্মীরা কবে ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা পাবেন তা নিয়ে রয়েছে সংশয়। কারণ রাজ্য প্রশাসন সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার চিন্তাভাবনা শুরু করেছে।
রায় দিতে গিয়ে আদালত জানিয়েছে, পুনর্বিবেচনার আর্জি গ্রহণ করা হচ্ছে না। দীর্ঘ শুনানি শেষের পর কী ভুল রয়েছে তা সংশোধন করা আদালতের কাজ নয়। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশ বা রায়ই বহাল রেখেছে। পাশাপাশি দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, ডিটেল এনকোয়ারি বা স্ক্রটিনি যে আবেদর রাজ্য করেছে তা প্রয়োজন নেই।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে রাজ্যের সরকারি কর্মী সংগঠনগুলি দীর্ঘ দিন ধরেই আন্দোলনে নেমেছে। এই নিয়ে অতীতেও মামলা হয়েছে। হাইকোর্টে রাজ্য সরকার মেনে নিয়েছিল ডিএ বা মাহার্ঘ ভাতার যে আর্জি রাজ্য সরকারি কর্মীদের তা ন্যায় সঙ্গত। গত ২০ মে হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল তিন মাসের মধ্যেই বকেয়া ডিএ মেটাতে হবে রাজ্য সরকারকে। যার জেরে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ৩১ শতাংশ হারে ডিএ দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা ৩৪ শতাংশ হারে ডিএ পান। কিন্তু সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও রায় মানা হয়নি। আর সেই কারণেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হয়। এই মামলার শুনানি হবে আগামী ৭ নভেম্বর।
যদিও রাজ্য সরকারের সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার প্রস্তুতির খবর চাউর হতেই রীতিমত অস্বস্তি বাড়ছে রাজ্য সরকারি কর্মীদের মধ্যে। আর সেই কারণে তাঁরা জানিয়েছেন এবার থেকে রাজ্যের বিরুদ্ধে শুধু আইনি লড়াই নয়, হবে রাস্তায় নেমে আন্দোলনও। তাঁদের দাবি মহার্ঘ ভাতা তাঁদের অধিকার। আর সেটাই দিতে চাইছে না রাজ্য। রাজ্য সরকার রাজ্যের সরকারি কর্মীদের বঞ্চিত করেছে বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
ডিএ মামলায় রাজ্যের হার, 'আবেদনের যৌক্তিকতা নেই '- বলল কলকাতা হাইকোর্ট
NIA-র তল্লাশি অভিযান কলকাতার পার্ক সার্কাসে, দেশবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ শেখ মোক্তারের বিরুদ্ধে
ওড়িশা উপকূলে নিম্নচাপের অবস্থান, আজ বিকেলেও বৃষ্টির ভ্রুকুটি কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায়