সংক্ষিপ্ত

  • বনগাঁয় দেওয়া কথা রাখলেন মমতা
  • হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মতিথিতে সরকারি ছুটি
  • সেই সরকারি ছু়টি নির্দেশিকা জারি করল নবান্ন
  • বিধানসভা ভোটের মতুয়া ভোট ব্য়াঙ্কে নজর

বিধানসভা ভোট এগিয়ে আসতেই সবপক্ষের নজর মতুয়া ভোট ব্যাঙ্কে। গত লোকসভা নির্বাচনে বনগাঁ বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির কাছে পরাস্ত হয়েছিল শাসকদল তৃণমূল। কিন্তু এবার সেই ভোট কোনওভাবেই হাতছাড়া করতে চাই না তাঁরা। এই অবস্থায় বনগাঁর সভায় দাঁড়িয়ে পঞ্চানন বর্মা, বীরসা মুণ্ডার মতো হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মতিথিতেও ছুটি ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
আরও পড়ুন-'বিজেপি তো চম্বলের ডাকাত, আমার অপরাধ কি', উত্তরবঙ্গ থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা মমতার

বনগাঁর জনসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মত, ৯ এপ্রিল হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মদিনে সরকারি ছুটি ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার সেই নির্দেশিকা নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে নবান্ন। বনগাঁ থেকে বিজেপির সংশোধনী নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। মতুয়ারা এদেশের নাগরিক। তাঁদের নাগরিকত্ব প্রমাণ করার প্রয়োজন নেই বলে জনসভা থেকে বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি, এ রাজ্যে এনআরসি, এনপিআর করতে দেব না বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন-শুভেন্দুর বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা, অমিতের বাংলা সফরের প্রথম সভা মেদিনীপুরেই

আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মতুয়া ভোট ব্যাঙ্ক সবদলের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, সূত্রের খবর, গোটা দেশে প্রায় পাঁচ কোটি মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করেন। তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গেই প্রায় তিন কোটি মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করেন। এই অবস্থায় হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মতিথিকে সরকারি ছুটি ঘোষণা করে মতুয়াদের মন পওয়ার চেষ্টা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। প্রসঙ্গত, সংশোধনী নাগরিকত্ব আইন পাশ হলেও এখনও কার্যকর হয়নি। বিজেপি সূত্রের খবর, আগামী জানুয়ারিতে এই আইন কার্যকর হতে পারে গোটা দেশে। সেক্ষেত্রে কোন দল মতুয়াদের মন পাবে তা নিয়েও ঠাকুর পরিবারের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে, মতুয়াদের কাছে নাগরিকত্ব বিষয়টি সব সময় স্পর্শকাতর বিষয়।