সংক্ষিপ্ত
- একবালপুরে তরুণী খুনের কাণ্ডে নয়া মোড়
- মৃতা নয়নার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক ছিল সাজিদের
- খুনের আগেই আগের থেকেই বস্তা কেনা ছিল
- বস্তা কেটে সনাক্ত করা পুরোটাই ছিল নাটক
একবালপুরে তরুণী খুনের কাণ্ডে নয়া মোড়।খুনের ঘটনায় ধৃত মহম্মদ সাজিত হোসেন এবং তাঁর স্ত্রী অঞ্জুম বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের পর উঠে এল আরও একাধিক হাড় হিম করা তথ্য। আলিপুর কোর্ট অভিযুক্তদের ১৩ দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন, একবালপুরে তরুণী খুনে গ্রেফতার দম্পতি,পরকীয়া নাকি নেশার ফাঁদ, তদন্তে পুলিশ
নয়নার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক ছিল সাজিদের
পুরোটাই নাটক। মৃতা নয়নার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক ছিল সাজিদের। পুলিশি জেরায় সেটা স্বীকার করেছে সে। প্রসঙ্গত, এই খুনের ঘটনাটা তার অনেক আগেই ঠান্ডা মাথায় প্ল্য়ান করা। খুন করে কীসে রাখবে, সেসবও ভেবে রেখেছিল সাজিদ। বছর কুড়ির নয়না ছিল সুন্দরী এবং বেপরোয়া। আর যার প্রতিবাদ করতে একটু বাধে না। অনায়াসেই সে গভীর রাতে স্কুটি নিয়ে পাড়ি দিন ময়দান ছাড়িয়ে ভবানীপুরের বিস্তৃর্ণ এলাকা। আর সেই নয়নার সঙ্গেই নিজের স্ত্রী থাকা সত্বেও অবৈধ সম্পর্ক চালাত সাজিত। জানা গিয়েছে, নয়না বিভিন্ন নেশাও করত। এদিকে ছোট বেলায় মা মরে যাওয়ায়, নয়নার এই বেপরোয়া জীবনে লাগাম পরানোর কেউ ছিল না। তাঁরই সুযোগ তুলেছে সাজিত।
আরও পড়ুন, ' ভালবাসা সম্পূর্ণ ব্য়াক্তিগত বিষয়', 'লাভ জেহাদ' নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ নুসরতের
আগের থেকেই বস্তা কেনা ছিল
জেরায় জানা গিয়েছে, খুনের ঘটনায় মহম্মদ সাজিত হোসেন এবং তাঁর স্ত্রী অঞ্জুম বেগম দুজনেই যুক্ত ছিল। পরিকল্পনা মাফিক আগের থেকেই বস্তা কেনা ছিল। জেরায় অভিযুক্ত সাজিদ জানিয়েছে যে, নয়নার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল তাঁর। সেই সুযোগে দীর্ঘ দিন ধরে তাকে ব্ল্যাক মেল করছিল মৃত নয়না। তাই সম্পূর্ণ ঠান্ডা মাথায় তাঁকে বাড়িতে ডাকে সাজিদ । যেখানে তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে সে। এই কাজে তাকে সাহায্য করে তার স্ত্রী। নয়নাকে খুন করে এরপর তাঁরা বস্তায় ঢুকিয়ে একবালপুরে এমএম আলী রোডে ফেলে রাখে। পরে পুলিশকে ডাকা থেকে শুরু করে বস্তা কেটে সনাক্ত করা পুরোটাই ছিল নাটক। এই ঘটনায় আলিপুর কোর্টের বিচারপতি অভিযুক্তদের ১৩ দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন, 'শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দিলেই ভাঙবে তৃণমূল সরকার', গর্জে উঠলেন অর্জুন সিং