সংক্ষিপ্ত

নো অবজেকশন লেটারে পর্থ নিজেকে অর্পিতার ‘ঘনিষ্ঠ পারিবারিক বন্ধু’ হিসেবে উল্লেখ করেন এবং অর্পিতা সন্তান দত্তক নিলে তাঁর কোনও আপত্তি নেই বলেও জানিয়েছেন ওই চিঠিতে। 
 

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পেশ করা ইডির চার্জশিটে উঠে আসছে একের পর পর চমকপ্রদ তথ্য। কোটি কোটি টাকারভ সম্পত্তি, বিদেশ ভ্রমণের তথ্যের পাশাপাশি সামনে এল একটি শংসাপত্রও। এই সংসাপত্র অনুযায়ী মা হতে চেয়েছিলেন অর্পিতা। সন্তান দত্তক নিতে চেয়ে প্রয়োজনীয় অনাপত্তির শংসাপত্র বা নো অবজেকশন লেটার চাওয়া হয়েছিল তৎকালীন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। আপত্তি নেই জানিয়ে 'সার্টিফিকেট'ও দেওয়া হয় পার্থর তরফ থেকে। অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার এই সংক্রান্ত একাধিক চিঠি উদ্ধার করেছে ইডির আধিকারিকরা। 

ইডির চার্জশিটে উঠে এসেছে পার্থ-অর্পিতার তাইল্যান্ড ভ্রমণ সহ একাধিক অপ্রকাশিত তথ্য। অর্পিতার সন্তান দত্তক নেওয়ার সিদ্ধান্ত তাঁর মধ্যে অন্যতম। যদিও জেরার মুখে পার্থ জানিয়েছেন, একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে এরম বিভিন্ন বিষয়ে শংসাপত্র নিতে আসতেন অনেকেই। তবে শংসাপত্রে করা স্বাক্ষর যে তাঁরই তা স্বীকার করেছেন পার্থ। 
কয়েকদিন আগেই অর্পিতার ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে চালিয়ে ২১ কোটি ৯০ লাখ টাকা ও বহুমূল্য গয়না, বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করেছিল ইডি। কুবেরের ধন ছাড়াও উদ্ধার হয় কিছু নথি। এর মধ্যে অন্যতম হল অর্পিতার দত্তক নেওয়া সংক্রান্ত কাগজপত্র। নো অবজেকশন লেটারে পর্থ নিজেকে অর্পিতার ‘ঘনিষ্ঠ পারিবারিক বন্ধু’ হিসেবে উল্লেখ করেন এবং অর্পিতা সন্তান দত্তক নিলে তাঁর কোনও আপত্তি নেই বলেও জানিয়েছেন ওই চিঠিতে। 

আরও পড়ুন - ফের সিবিআই-এর আতশকাচের নীচে পার্থ-ঘনিষ্ট, মোনালিসা দাসের দাদা মানস দাসের নামে একাধিক সম্পত্তির হদিশ

প্রসঙ্গত, এসএসসি (স্কুল সার্ভিস কমিশন) দুর্নীতি মামলায় পার্থ-অর্পিতার বিরুদ্ধে ৫৮ দিনের মাথায় চার্জ শিট পেশ করতে চলেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সোমবারই ইডির বিশেষ আদালতে পেশ করা হতে পারে চার্জশিট পেশ করা হবে। ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে চার্জশিটে নাম থাকছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তার ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায় সহ আরও কয়েকজনের। 

আরও পড়ুন - 'পার্থ-অনুব্রত দলের পচে যাওয়া অংশ', জহর সরকারের মন্তব্যে অস্বস্তি বাড়ছে ঘাসফুল শিবিরে

গত শুক্রবারই সিবিআই হেফাজতে নেওয়া হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। আইন অনুযায়ী ৬০ দিনের মধ্যে চার্জশিট না পেশ করতে পারলে জামিন পেতে পারেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কার্যত সেই আশঙ্কা থেকেই প্রাক্তন মন্ত্রীকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিল সিবিআই। তাদের দাবি, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার মূল হোতা ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই। তাই তাঁকে হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন। 
এর আগেও জামিনের জন্য আর্জি জানিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পার্থর আইনজীবীর পক্ষ থেকে এদিন আদালতের কাছে 'যে কোনও মূল্যে' জামিন মঞ্জুর করার দাবি রাখা হল। 

আরও পড়ুন - 'বাড়িতে নজরবন্দি থাকতেও রাজি', আদালতের কাছে 'যে কোনও শর্ত সাপেক্ষে' জামিনের আবেদন পার্থর