সংক্ষিপ্ত
ফের শুটআউট শহর কলকাতায়। ব্যবসায়ীকে গুলি করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ আমহাস্টস্ট্রিট থানা এলাকায়। গুলিবিদ্ধ ওই ব্যবসায়ীকে ইতিমধ্যেই কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ফের শুটআউট শহর কলকাতায় (Kolkata) । ব্যবসায়ীকে গুলি করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ আমহাস্টস্ট্রিট থানা এলাকায় ( Amherst Street Police Station)। গুলিবিদ্ধ ওই ব্যবসায়ীকে ইতিমধ্যেই কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (Calcutta Medical Collge and Hospital) ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গুলিবিদ্ধ জখম ওই ব্যবসায়ীর নাম দীপক দাস (Deepak Das)। তার দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তের খোঁজে নেমেছে পুলিশ (Police)।
পুলিশ সূত্রে খবর, দীপক দাস নামের ওই ব্যবসায়ী আমহাস্টস্ট্রিট থানার কাছেই কেশব চন্দ্র সেন স্ট্রিট এলাকারই বাসিন্দা। তিনি প্রোমোটিং ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে জানা গিয়েছে। বুধবার দুপুরে ঘটনার ঠিক আগের মুহূর্তে কেশব চন্দ্র সেন স্ট্রিটের নিজের দোকানের ভিতরেই ছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ দীপকের এক দূর সম্পর্কের আত্মীয় রাকেশ দাস সহ আরও এক ব্যক্তি ওই দোকানে আসেন। এরপরেই তাদের মধ্যে কোনও একটা বিষয় নিয়ে বচসা শুরু হয়। এরপরেই আচমকাই গুলির আওয়াজে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। মুহূর্তেই ভিড় জমান স্থানীয়রা। দীপককে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। আর ততক্ষণে ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে রাকেশ দাস এবং অপর এক ব্যক্তি। স্থানীয়রা দেখেন, দীপক দাস নামের ওই ব্যবসায়ীর ঘাড়ে এবং মাথায় গুলি লেগেছে। ততক্ষণে রক্তে ভেসে গিয়েছে ঘটনাস্থল। তড়িঘড়ি করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দীপককে শহরের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে এই মুহূর্তে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকলেও ওই ব্যবসায়ীর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ ইতিমধ্য়েই দীপকের দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে অনুমান, রাকেশ দাস নামের এক আত্মীয়ই দীপকের উপর গুলি চালিয়েছে। এবং ঘটনার সময় সঙ্গে আরও এক যুবকও ছিল বলে দাবি করা হয়েছে। ব্যবসায়িক শত্রুতার জেরেই এই শুটআউট বলে ধারণা পুলিশের। তবে আচমকাই এই গুলি চালানো হয়নি। পুরোপুরি ছক কষা হয়েছে আগে থেকে, তারপরেই গুলি চালানো হয়েছে এদিন বলে অনুমান করছে পুলিশ। ইতিমধ্য়েই অভিযুক্তদের খোঁজে কড়া তল্লাশি শুরু হয়েছে। এই ঘটনায় আরও কেউ যুক্ত রয়েছে কিনা, কিংবা আগে ঘটনা কোনও বিবাদ নিয়ে স্থানীয় কারও কাছে কোনও গুপ্ত তথ্য রয়েছে কিনা, তা বেরিয়ে আসার অপেক্ষায় পুলিশ। তবে দীপক দাস পুরোপুরি সুস্থ হলেই আসল ঘটনা ঠিক ঘটেছিল , তা চোখের সামনে ভেসে আসবে। কিংবা অভিযুক্তরা যদি এই মুহূর্তে নিজেদের আত্মরক্ষার্থে কোনও ঘটনা ঘটিয়ে বসে, সেদিকেও নজর রয়েছে পুলিশের। তবে এই ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে একটা বড় সড় প্রশ্ন উঠে এসেছে।