সংক্ষিপ্ত
কিছু বই জেরক্স করার জন্য রাজারহাটের রাস্তায় বেরিয়েছিল দুই নাবালিকা স্কুল ছাত্রী। সেইসময় স্করপিও গাড়িতে থাকা চার যুবক তাদের দেখে খারাপ অঙ্গভঙ্গি করে বলে অভিযোগ।
গোটা রাজ্যের বেড়ে চলেছে খুন-ধর্ষণ-অপহরণের ঘটনা। এবার দিনে-দুপুরে দুই নাবালিকা (Attempts to kidnap two minor) স্কুল ছাত্রীকে কিডন্যাপ করার চেষ্টা ঘটল ব্যস্ত শহরের বুকে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল গোটা রাজারহাট এলাকায়। তদন্তে নেমে ৪ যুবককে আটক করল রাজারহাট থানার পুলিশ(Police of Rajarhat police station)। সূত্রের খবর, কিছু বই জেরক্স করার জন্য রাজারহাটের রাস্তায় বেরিয়েছিল দুই নাবালিকা স্কুল ছাত্রী। তাদের দাবি, সেইসময় স্করপিও গাড়িতে থাকা চার যুবক তাদের দেখে খারাপ অঙ্গভঙ্গি করে। গাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় এক যুবক নাবালিকার হাত ধরে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করে। সেই সময়ই চেঁচামেচি শুরু করে দেয় দুই নাবালিকা।
এদিকে দুজনের চিৎকার এবং কান্নাকাটির আওয়াজ পেয়ে চার যুবকের দিকে ধেয়ে আসে স্থানীয়রা। চিৎকার শুনে এলাকার লোকজন ঘটনাস্থলে চলে আসে। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে যুবকরা দ্রুত এলাকা ছেড়ে পালায়। এদিকে বাংলায় ইভটিজিংয়ের ঘটনা প্রায়শই সামনে আসে। স্কুল হোক বা কলেজ এমনকী নিজের পাড়াতেও প্রায়শই ইভটিজিংয়ের শিকার হয় তরুণী থেকে নাবালিকা সকলকেই। কিন্তু এরইমধ্যে রাজারহাটের এই ঘটনা ব্যাপক সাড়া ফেলেছে নাগরিক মহলে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী ইতিমধ্যেই দুই কিশোরী রাজারহাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। এরপরই নড়েচড়ে বসে পুলিশ-প্রশাসন। শুরু হয়েছে জোরদার তদন্ত।
আরও পড়ুন- আনিস মৃত্যুতে বড় পদক্ষেপ কলকাতা হাইকোর্টের, কবে শুরু হচ্ছে স্বতঃপ্রণোদিত মামলার শুনানি
আরও পড়ুন- নয়া শিক্ষানীতির বাস্তবায়নে ব্যাপক ভাবে সাহায্য করবে এবারের বাজেট, দাবি মোদীর
তদন্তের শুরুতেই রাজারহাট থানার বাগু এলাকার বিভিন্ন দোকানের সিসি টিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। অভিযুক্তদের গাড়ির নম্বরও খুঁজে পান পুলিশ আধিকারিরকরা। সেই সূত্র ধরেই চার যুবককে গ্রেফতার করে রাজারহাট থানার পুলিশ। তাদের মধ্যে একজন হারোয়া ও বাকি তিনজন কাশিপুরের বাসিন্দা। মঙ্গলবার ধৃতদের বারাসাত আদালতে তোলা হয়। তবে তারা কি উদ্দেশ্যে ওখানে এসেছেলি তা এখনও পরিষ্কার নয়। তারা কী তবে কোনও পাচারকারী দলের সঙ্গে যুক্ত? এই প্রশ্নই তীব্র ভাবে ঘোরাফেরা করছে বিভিন্ন মহলে। স্কর্পিও গাড়িটিকেও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে চলতি মাসের শুরুতে দিনে-দুপুরে খাস কলকাতার জনবহুল রাস্তায় শ্লীলতাহানির শিকার হন আর এক তরুণী। পুলিশ সূত্রে খবর, এজেসি বোস রোড ধরে এক ছাত্রী হেঁটে যাচ্ছিলেন। সেই সময় অ্যাম্বুল্যান্সের ভিতর বসে থাকা দুই যুবক তাঁদের লক্ষ্য করে ক্রমাগত কটুক্তি করতে শুরু করে। পুলিশের তৎপরতায় দ্রুত গ্রেপ্তার হয় দুই অভিযুক্ত।
আরও পড়ুন- সাহস থাকলে সিবিআই তদন্ত টাক রাজ্য, আনিস কাণ্ডে মমতাকে তোপ দিলীপের
আরও পড়ুন- কতটা শান্তিপূর্ণ ভোট হল উত্তরপ্রদেশে, তৃতীয় দফার নির্বাচন শেষে পাল্লা ভারী কার