সংক্ষিপ্ত

খোলা ম্যানহোলে পড়ে গিয়ে প্রাণ হারালেন দক্ষিণ দমদম পৌরসভার অন্তর্গত বেদিয়াপাড়া পাড়ার বাসিন্দা রঞ্জন সাহা।

খোলা ম্যানহোলের(manhole) জেরে দুর্ঘটনার খবর এখন তিলোত্তমার বুকে রোজকার ঘটনা হয়ে গিয়েছে। শাসক আসে শাসক যায় কিন্তু অব্যবস্থার আর পরিবর্তন হয় না। এবার খোলা ম্যানহোলে পড়ে গিয়ে প্রাণ হারালেন দক্ষিণ দমদম পৌরসভার(dumdum municipality) অন্তর্গত বেদিয়াপাড়া পাড়ার বাসিন্দা রঞ্জন সাহা। তিনি পেশায় অটোচালক(auto driver) বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম(firhad hakim)।

সূত্রের খবর, শুক্রবার রাত বাড়লেও বাড়ি ফেরেননি রঞ্জন। আর তখনই চিন্তা বাড়তে থাকে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের। গোটা এলাকাতেই শুরু হয় খোঁজখবর। রাত খানিক গভীর হলে স্থানীয় বাসিন্দারা দমদমের সেভেন ট্যাঙ্কসের কাছে ম্যানহোল থেকে রঞ্জনকে উদ্ধার করেন। তখনই তাঁকে দ্রুত আর.জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ভোর চারটে নাগাদ সেখানেই তার মৃত্যু হয় বলে জানা যায়। স্থামীয়দের দাবি ম্যানহোলের মুখে ঢাকনা না থাকায় অটো চালিয়ে বাড়ি ফেরার পথেই ম্যানহোলে পড়ে যান ওই অটোচালক। আর তাতেই মৃত্যু হয় তাঁর।

আরও পড়ুন - বিএসএফ-এর সম্মানহানির অভিযোগ, উদয়নকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

মৃত্যুর খবর সামনে আসতেই প্রশাসনের অন্দরেই শুরু হয়েছে অভিযোগ-পালটা অভিযোগের পালা। দমদম পুরসভার বিদায়ী কাউন্সিলর পুষ্পালী সিনহা আবার গোটা ঘটনার দায় পূর্ত দপ্তরের উপর দায় চাপিয়ে দিয়েছেন। তাঁর স্পষ্ট দাবি, ম্যানহোলে ঢাকনা দেওয়া আছে নাকি নেই, সে বিষয়ে নজর রাখার দায়িত্ব পূর্ত দপ্তরের। তারা তা না রাখাতেই এই বিপত্তি। পাশাপাশি তাঁর আরও দাবি বারেবারে ম্যানহোলে ঢাকনা দেওয়া হলেও তা চুরি হয়ে যায়। প্রতি ৬ মাস অন্তর ঢাকনা লাগিয়েও বিশেষ লাভ হয়নি।

আরও পড়ুন - কেন্দ্রের বিরোধিতাই কাল, বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদলি ঘিরে বাড়ছে চাপানউতর

এদিকে অটোচালকের এই অকাল মৃত্যুতে দমদমের বেদিয়া পাড়া অঞ্চলে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।ছেলের মৃত্যুর খবরে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তাঁর মা-ও। রঞ্জনের মত্যুর খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছান দক্ষিণ দমদম পৌরসভার প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য গোপা পান্ডে। মৃতের পরিবারের প্রতি শোকজ্ঞাপনও করেন তিনি। একইসঙ্গে মৃত রঞ্জন সাহার পরিবারকে সবরকম ভাবে সাহায্য করা হবে বলেও জানান তিনি। অটোচালকের প্রাণহানির ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন ফিরহাদ হাকিমও। ময়নাতদন্ত না হওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ জানা সম্ভব নয় বলেই দাবি তাঁর। যদিও ঠিক কোন অংশের গাফিলতির কারণে এত বড় বিপর্যয় ঘটল তা খতিয়ে দেখতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।