সংক্ষিপ্ত

এই মুহূর্তে পর্ণশ্রীর ১৩৯ ডি/৪ মহারানি ইন্দিরা দেবী রোডের বাড়িতে রয়েছেন রত্না। কিন্তু, ২৬ সেপ্টেম্বর জানতে পারেন যে সেই বাড়িটি বৈশাখীর কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন শোভন। আর তারপর থেকেই রত্নাকে সেই বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার জন্য জোর দেওয়া হয়। 

বাবা-মা ও স্বামী সক্রিয় রাজনীতির (Active Politics) সঙ্গে যুক্ত থাকলেও নিজে কখনও সরাসরি যুক্ত ছিলেন না। কিন্তু, স্বামী বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার পর থেকেই আঁকড়ে ধরেছিলেন বেহালার ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডকে (Behala Ward 131)। সব সময় মানুষের পাশে ছিলেন তিনি। আর সেই কারণেই এবার কলকাতা পুরভোটে (KMC Election) শোভন চট্টোপাধ্যায়ের (Sovan Chatterjee) থেকে ১৩১ নম্বর ওয়ার্ড ছিনিয়ে নিলেন রত্না চট্টোপাধ্যায় (Ratna Chatterjee)। ওই ওয়ার্ডে রেকর্ড ব্যবধানে জিতেছেন তিনি। এমনকী, শোভনের থেকেও বেশি সংখ্যক ভোটও পেয়েছেন। আর রত্নার এই জয় প্রসঙ্গে শোভন বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় (Baishakhi Banerjee) বললেন, "উনি পৌরমাতা হয়েছেন, সে ঠিক আছে। কিন্তু, আমাদের বাড়িটা এবার ছাড়ুন।" 

এই মুহূর্তে পর্ণশ্রীর ১৩৯ ডি/৪ মহারানি ইন্দিরা দেবী রোডের বাড়িতে রয়েছেন রত্না। কিন্তু, ২৬ সেপ্টেম্বর জানতে পারেন যে সেই বাড়িটি বৈশাখীর কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন শোভন। আর তারপর থেকেই রত্নাকে সেই বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার জন্য জোর দেওয়া হয়। এ প্রসঙ্গে বৈশাখী জানিয়েছিলেন, আসলে মামলার খরচ জোগান দিতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছিল শোভনকে। তখনই নিজের দুটি বাড়ির মধ্যে একটি বাড়ি বিক্রি করে দিতে চেয়েছিলেন তিনি। সেই সময় শোভনের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন বৈশাখী। বন্ধুর একটি বাড়ি তিনি কিনে নিয়েছিলেন। আর এখন সেই বাড়িতেই রয়েছেন রত্না। তবে শোভন সেই বাড়িতে থাকেন না। বেহালার ওই বাড়ি ছেড়ে অনেক দিকে আগেই গোলপার্কের (Golpark) একটি বহুতলে থাকা শুরু করেছিলেন। তারপর থেকে আর কখনও পর্ণশ্রীর (Parnasree) ওই বাড়িতে তিনি ফেরেননি। তবে এখন নাকি আবার পর্ণশ্রীর বাড়িতে ফিরতে চান শোভন। অবশ্য রত্নার সঙ্গে তিনি থাকবেন না। তাই রত্নাকে বাড়িটি ছাড়তে বলা হয়েছে।  

আরও পড়ুন- নিজের হাতেই রাখলেন এলাকার দখল, একদা শোভন-গড়ে তাঁর থেকেও বেশি ভোটে জয়ী রত্না

মঙ্গলবার ফের রত্নাকে ওই বাড়িটি ছাড়তে বলেন বৈশাখী। তিনি বলেন, "আমি চাই বেহালার ছেলে শোভন চট্টোপাধ্যায় স্বমহিমায় নিজের বাড়িতে ফিরুন। বাড়ি না ছাড়লে এরপর মামলা করতে বাধ্য হব।" পর্ণশ্রীর এই বাড়ি ছাড়াও মহেশতলার গোডাউন নিয়েও দুই পক্ষের মধ্যে মামলা চলছে। সেই উদ্ধার করবেন বলে জানিয়েছেন বৈশাখী। কারণ শোভনের 'স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির অধিকারী' এখন তিনি।

তবে এটা প্রথমবার নয়, এর আগেও রত্নাকে বাড়ি খালি করে দেওয়ার জন্য নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু, তাতে বিশেষ গুরুত্ব তিনি দেননি। প্রথম নোটিশ পাঠানো হয়েছিল ২৭ নভেম্বর। যদিও ওই নোটিশে গুরুত্ব না দিয়ে বাড়ি বিক্রির সঠিক প্রমাণ ও বাড়ি যে কেনা হয়েছে তার প্রমাণ দেখাতে বলেছিলেন রত্না। এরপর দ্বিতীয় নোটিশ দেওয়া হয় তাঁকে। সেটিকেও বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ রত্না। অবশ্য এবার বাড়ি না ছাড়লে বৈশাখী আইনি পথে হাঁটবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ফলে এবার রত্না বাড়ি ছাড়েন কিনা এখন সেটাই দেখার বিষয়।