সংক্ষিপ্ত
বেহালাকাণ্ডে গ্রেফতার বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা সহ ৭ জন। বেহালাকাণ্ডে হাওড়া থেকে পুলিশের জালে মূল অভিযুক্ত সোমনাথ বন্দ্য়োপাধ্যায় ওরফে বাপন।
বেহালাকাণ্ডে গ্রেফতার বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা সহ ৭ জন। বেহালাকাণ্ডে হাওড়া থেকে পুলিশের জালে মূল অভিযুক্ত সোমনাথ বন্দ্য়োপাধ্যায় ওরফে বাপন। তর সঙ্গে থাকা আরও ৬ জনকেও গ্রেফতার করেছেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের গুণ্ডাদমন শাখার অধিকারিকরা। হাওডা়র গ্রামীণ এলাকার জয়পুরে একটি খামার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁদেরকে। ধৃতদের রবিবার আলিপুর আদালতে তোলা হবে।
ঘটনার সূত্রপাত ১২ এপ্রিল। বেহালার চড়কতলায় যেখানে মেলা হয়, সেই মাঠের দখল কার হাতে থাকবে, এনিয়ে চাপানউতোর শুরু হয়। ১২১ নং ওয়ার্ডে দুই গোষ্ঠাীর মধ্যে বচসা থেকে হাতাহাতি সংঘর্ষ শুরু হয়। রাতের দিকে চলে বোমাবাজি। ভাঙচুর হয় তৃণমূলের একটি পার্টি অফিস। এরপরেই অশান্তি চরমে ওঠে। এলাকায় দিনভর জারি ছিল উত্তেজনা। তারপর থেকেই বেপাত্তা হয়ে যায় ১২১ নং ওয়ার্ডের যুব তৃমমূল সভাপতি সোমনাথ বন্দ্য়োপাধ্যায় ওরফে বাপন।
আরও পড়ুন, 'অজুহাত দেব না, রিগিং হয়েছে বলব না', ভোটে হেরে মোদীকে 'সরি স্যার' বললেন অগ্নিমিত্রা
এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর এই তান্ডব রাজ্যে নতুন নয়। বেহালা পূর্বের বাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং লালটু এই দুই তৃণমূল নেতার গোষ্ঠী সংঘর্ষ এর আগেও এলাকায় দেখা গিয়েছে। কিন্তু মঙ্গলবার এর রাত এর আগে দেখেননি এলাকাবাসী। এদিকে ঘটনার পরই গা ঢাকা দেন বাপন সহ তৃণমূলের ওই গোষ্ঠীর কর্মীরা। ঘটনার পরই একটি অডিও ভাইরাল হয়। তাতে তৃণমূল নেতা বাপন বন্দোপাধ্যায়কে বলতে শোনা যায়, "১২১ নম্বর থেকে ১০ দিনে ২০ লক্ষ টাকা তুলেছি।" এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিন্দার ঝড় ওঠে রাজনৈতিক মহলে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বাপনকে।
বেহালার এই ঘটনার উপর নজর রাখেন মমতা। এই ঘটনায় কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বেহালা থাকাকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি এমন কাজ করলে কাউকে রেয়াত করা হবে না বলেও তিনি বার্তা দিয়েছেন। এদিকে বুধবারই ১২১ নম্বর ওয়ার্ডে যান রত্না। সেখানকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। ঘটনার দিন পরিস্থিতি ঠিক কেমন ছিল তাও জানতে চান। এরপরই তাঁকে ফোন করে ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে চান মমতা। এদিকে রত্নার কাছে গিয়ে ক্ষমা চান বাপনের স্ত্রী। রত্নার কথায়, 'বাপন অন্যায় করে থাকলে শাস্তি পাবেন। লুকিয়ে না থেকে তাঁর উচিত আত্মসমর্পণ করা।' তবে বাপনের স্ত্রীর ক্ষমা চেয়েও শেষ রক্ষা হয়নি। বহিষ্কার তো তাঁকে করা হয়েছে আগেই। এবার করা হল গ্রেফতার। আপাতত পুরো ঘটনাটাই খতিয়ে দেখছে পুলিশ।