সংক্ষিপ্ত
- ঈদ উপলক্ষ্যে লকডাউনে শিথিলতা আনতে পারে কেন্দ্র
- রাজ্য় সরকার যেন সেই পথে না হাঁটে তার আবেদন
- এই মর্মে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিল বেঙ্গল ইমাম অ্যাসোসিয়েশন
- চিঠিতে মুখ্য়মন্ত্রীকে ঈদ নিয়ে কী লিখলেন ইমামরা
কেন্দ্রীয় সরকার ঈদ উপলক্ষ্যে লকডাউনে শিথিলতা আনলেও রাজ্য় সরকার যেন সেই পথে না হাঁটে। এই মর্মে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিল বেঙ্গল ইমাম অ্যাসোসিয়েশন। চিঠিতে ইমামরা জানিয়েছেন, ২৫ তারিখ সম্ভবত ঈদ হতে পারে। সেই সময় লকডাউন ভাঙলে ক্ষতি হতে পারে। রাজ্য়ের স্বার্থে তারা ৩০ মে পর্যন্ত লকডাউন বাড়িয়ে দেওয়ার পক্ষপাতী। মুখ্য়মন্ত্রী যেন বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করেন।
এই বলেই থেমে থাকেননি ইমামরা। মুখ্য়মন্ত্রীকে তারা বলেছেন, এই কঠিন সময়ে তারা অনেক ত্যাগ করেছেন। তাই রাজ্য়ের ভালোর জন্য এই সময়ে তারা উৎসব চান না। চিঠিতে ইমামরা লিখেছেন আগে, মানুষ বাঁচুক, তারপর উৎসব হবে। এরকম সময়ে কোন দোকান কেন খোলা হল তা নিয়েও প্রশ্ন তুলবেন না তারা। এমনকী কেন্দ্রীয় সরকার ঈদে লকডাউনে ছাড় দিলেও মুখ্য়মন্ত্রী যেন এরকম কিছু না করেন। সেই বিষয়ে অনুরোধ করা হয়েছে মুখ্য়মন্ত্রীকে।
উল্টে কেন্দ্রীয় সরকারকে ঈদের সময়ে লকডাউনে শিথিলতা আনতে না করেছেন ইমামরা। এ বিষয়ে মুখ্য়মন্ত্রী যেন কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কথা বলেন,তাও চিঠিতে লিখেছেন বেঙ্গল ইমাম অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। প্রতি বছর আসে ঈদ। সারা বছর এই দিনটার জন্যেই অপেক্ষা করে থাকেন সংখ্যালঘুরা। এর মধ্যে লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। করোনার আবহে একমাসের রোজা পালন করছেন মুসলিমরা। চলতি মাসের শেষে ঈদ হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা।
এদিকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করতে এবার কলকাতার মসজিদের দরজা খুলে দিয়েছেন ইমাম। দেশজুড়ে করোনা মোকাবিলায় চলছে তৃতীয় দফার লকডাউন। লকডাউনের জেরেই বন্ধ রেছে মসজিদটি। এবার সেই মসজিদেই কোয়ারেন্টাইন সেন্টার চালু করার আবেদন জানিয়েছেন ইমাম। ইতিমধ্যেই কলকাতার জামিয়া মসজিদ গাউসিয়া-র ইমাম মৌলানা কোয়ারি মহম্মদ মুসলিম রাজউই কলকাতা পুরসভার কাছে মসজিদে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করার প্রস্তাব দিয়েছেন।