সংক্ষিপ্ত
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, "একদম ঠিক হয়েছে। এসএসসি-র নামে লুঠ হয়েছে। এবং প্রত্যেকটা লুঠের ভাগীদার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী নিজে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী জানেন। তাঁর নির্দেশে সমস্ত দুর্নীতি হচ্ছে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সমস্ত দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিয়েছেন। দুর্নীতিতে আশ্রয় করেই তিনি এই বাংলায় টিকে রয়েছেন।"
এসএসসি দুর্নীতি মামলা নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। সোমবারই সামনে আসে অনুসন্ধান কমিটির রিপোর্ট। আর তা আসার পরই একটু একটু করে চাপ বাড়ছিল রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উপর। এসএসসি দুর্নীতি মামলায় গ্রুপ-ডি নিয়োগের ক্ষেত্রে চরম দুর্নীতি হয়েছে বলে উল্লেখ করেছিল অনুসন্ধান কমিটি। আর সেই রিপোর্ট আসার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সিবিআই দফতরে পার্থকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়। যদিও আদালতের নির্দেশের সঙ্গে সঙ্গে সিবিআই দফতরে ছুটতে হয়নি তাঁকে। বরং সেই নির্দেশের উপর বুধবার সকাল পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। তাতে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী। আর সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়ায় তাঁকে আক্রমণ করল বিজেপি ও কংগ্রেস।
এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, "আমাদের রাজ্যের একজন শিক্ষামন্ত্রীকে দুর্নীতির দায়ে সিবিআই ডাকছে। এটা খুবই দুর্ভাগ্যের। এই অবস্থা কেন? বছরের পর বছর শিক্ষক নিয়োগে যে পরিমাণ দুর্নীতি, স্বজনপোষণ হয়েছে। পরীক্ষা না দিয়ে পরীক্ষায় ফেল করে চাকরি পেয়েছে। আর যারা পরীক্ষায় পাশ করেছেন তারা ধর্মতলায় বসে আছেন। ওনার অজ্ঞাতে এটা হয়েছে তা নয়। আর অজ্ঞাতে হয়ে থাকলে কাদের জন্য পশ্চিমবঙ্গের বেকারদের এই দুরবস্থা হয়েছে তা ওনার স্পষ্ট করে বলে দেওয়া উচিত।"
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, "একদম ঠিক হয়েছে। এসএসসি-র নামে লুঠ হয়েছে। এবং প্রত্যেকটা লুঠের ভাগীদার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী নিজে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী জানেন। তাঁর নির্দেশে সমস্ত দুর্নীতি হচ্ছে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সমস্ত দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিয়েছেন। দুর্নীতিতে আশ্রয় করেই তিনি এই বাংলায় টিকে রয়েছেন।"
উল্লেখ্য়, পার্থ চট্টোপাধ্যায় রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন এসএসসি-র গ্রুপ ডি পর্যায়ে নবম এবং দশম শ্রেণির নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি হয় বলে অভিযোগ। এরপর সোমবার গ্রুপ-D নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ করে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগের নেতৃত্বাধীন অনুসন্ধান কমিটি। সূত্রের খবর, রিপোর্টে দাবি করা হয়, তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অনুমতিতে যুগ্মসচিব যে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছিল তা বেআইনি। তারপরই পার্থকে সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন- পার্থর সঙ্গে বিকেলে উডবার্ণে দেখা হওয়ার সুযোগ মিস, 'কনে দেখা আলোয়' একাই এসএসকেম-এ কেষ্ট
মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বিকেল ৫টার সিবিআই দফতর অর্থাৎ নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে হবে। পাশপাশি হাইকোর্টের তরফে এও জানানো হয় যে, হাজিরার আগে কোনওভাবে এসএসকেমের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি হতে পারবেন না। প্রয়োজন মনে করলে সিবিআই তাঁকে গ্রেফতারও করতে পারে। এরপরই ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাতে সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের উপর আপাতত স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাজিরায় স্থগিতাদেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।