সংক্ষিপ্ত
সোমবার নিউটাউনে এসে বরাবরের মতোই রাজ্যের শাসকদলের শীর্ষ নের্তৃত্বকে নিশান করলেন দিলীপ ঘোষ, অভিষেক থেকে মদন, কল্যাণ- কে নেই তাঁর তোপের লিস্টিতে। ঠোটের আগায় প্রশ্নের ধারালো উত্তর নিয়ে শীতের সকালে উষ্মা ছড়ালেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
সোমবার নিউটাউনে এসে বরাবরের মতোই রাজ্যের শাসকদলের শীর্ষ নের্তৃত্বকে নিশান করলেন দিলীপ ঘোষ। অভিষেক থেকে মদন, কল্যাণ- কে নেই তার তোপের লিস্টিতে। ঠোটের আগায় প্রশ্নের ধারালো উত্তর নিয়ে শীতের সকালে উষ্মা ছড়ালেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।
'কোন জায়গায় পুজোটা দেবেন বুঝতে পারছেন না', মদন প্রসঙ্গে দিলীপ
উল্লেখ্য, মদন মিত্র সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেছেন, 'তাঁদের দলের সভায় কোথায় গিয়ে অভিযোগ জানাবেন। তৃণমূল ভবনে গেলে শুধু সুব্রত বক্সীকে পাওয়া যায় আর কাউকে পাওয়া যায় না। ' এপ্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'মদনদা অনেকদিন পরে মনের কথা বলেছেন। পুরোনো পলিটিশিয়ান অনেক উত্থান পতন দেখেছেন। অনেক কষ্ট পেয়েছেন। তাঁর মনের কথা বলার সুযোগ ছিল, বলার জায়গা চাই। উনি যার নাম বললেন সুব্রত বক্সীকে বলে কোনও লাভ নেই। ওনার সামনে বলা, আর গাছের সামনে বলা একই কথা। সেইজন্য ওনাদের মহামন্ত্রী বলেছেন বলা উচিত খুঁজে পাচ্ছেন না কাকে বলবে কোথায় বলবে। এটা ঠিক যে টিএমসিতে পাওয়ার সেন্টারটা ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে। আর সেটা অনেকে সহ্য করতে পারছেন না। কোন জায়গায় পুজোটা দেবেন বুঝে উঠতে পারছেন না। এইজন্যই প্রবলেম হচ্ছে।'
'এবার অনেকের 'মন কি বাত' শোনার সুযোগ হচ্ছে', কল্যাণ ইস্যুতে খোঁচা
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় যেটা বললেন সেটা কী ওনার নিজের ভাষা নাকি ওদের মধ্যে আবার গোষ্ঠীকোন্দল শুরু প্রশ্ন উঠতেই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ইস্যুতে দিলীপ ঘোষ বলেন, এটা তো আমি রিসার্চ করিনি। কিন্তু কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও মনের কথা বলেছেন। এটা ভালো যে একা 'মন কি বাত' হতো মোদীজির এবার অনেকের 'মন কি বাত' শোনার সুযোগ হচ্ছে। তবে এত জল ঘোলার পরেও 'নেত্রী নিজে কেন সরাসরি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে কিছু বলছেন না', এনিয়ে দিলীপ বলেন, আমি যেটা বললাম পাওয়ার সেন্টারটা সরে যাচ্ছে। নেত্রীর গ্রিপ সরকার এবং পার্টিতে কমে যাচ্ছে। যেভাবে ডায়মন্ড হারবার থেকে সৌমেন বাবুকে সরিয়ে এক ভাইপো কে এমপি করা হলো পরের ইলেকশনে হয়তো একই জিনিস শ্রীরাম পুরে দেখা যাবে। আর সেই 'জোর কা ধাক্কা ধীরে সে লাগে' তাতে কল্যাণদা বুঝতে পেরেছেন তাই প্রথম থেকে তিনি সিগন্যাল দিচ্ছেন।'
শীতের সময় গোয়া সফরটা খুব ভালোই লাগে, অভিষেক ইস্য়ুতে রসিকতা দিলীপের
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোয়া সফর প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, শীতের সময় গোয়া সফরটা খুব ভালোই লাগে। সুন্দর পরিবেশ থাকে। দেশ বিদেশি লোক থাকে। অনেকবার যাওয়ার চেষ্টা করছেন গিয়ে কোনও লাভ হচ্ছে না। জানি না কেউ আছে কি না ওনাকে রিসিভ করার জন্য। ট্যাবল বির্তক নিয়ে তিনি বলেন, ট্যাবল বিতর্ক প্রত্যেক ওয়েস্ট বেঙ্গল গভর্মেন্টের একটা ফ্যাশন। সব ব্যাপারে বিতর্ক তৈরি করা একটা ফ্যাশন। মানুষ কে আসল সমস্যা থেকে সরিয়ে দিয়ে মন কে বিভ্রান্ত করার ফ্যাশন। ট্যাবল কি হবে না হবে ওখানে একটা কমিটি আছে দিল্লিতে তারা ঠিক করে তাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলে প্রথম থেকে ইনফরমেশন দিয়ে করা উচিত। ওনারা বিতর্ক চান কাজ চান না।
'সবাই নাগরিকত্ব পাবেন', মতুয়া ইস্যুতে কী বার্তা দিলীপের
সিএএ নিয়ে মতুয়ারা আন্দোলনে নামছেন বলে জানা যাচ্ছে। এপ্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, শুধু মতুয়া নয়। পশ্চিমবাংলায় আমার ধারনা প্রায় তিন কোটি কাছাকাছি পূর্ব বাংলা থেকে আসা মানুষ আছেন যারা সিএএ হলে নাগরিকত্বের সুবিধা পাবেন আর সেই জন্য প্রধানমন্ত্রী এটা করেছেন। বিজেপি অর্ধেক কাজ করেছে অর্ধেক বাকি আছে। পরিবেশ পরিস্থিতি অনুকূল হলে ওটাও করবে। এবং বিজেপি একাজই করতে পারে। এজন্য মতুয়ারা বিশ্বাস করে এসেছেন বিজেপিতে। ভোট দিয়েছেন। আমি বলব আপনারা ধৈর্য ধরুন। সত্তর বছর পঁচাত্তর বছর লেগে গিয়েছে সিএ করতে এক আধ বছর বড় ঘটনা নয় আমাদের আমলে যারা আশা করে বসেছেন সবাই নাগরিকত্ব পাবেন।