সংক্ষিপ্ত
- রাজ্য মন্ত্রিসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবথেকে অসফল
- মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এমনই মন্তব্য করলেন দিলীপ ঘোষ
- আমফানের ত্রাণ চুরি করেছে তৃণমূলের নেতারা
- তথ্য জেনেও পু্লিশ কোনও আইনত ব্যবস্থা নেয়নি
রাজ্য মন্ত্রিসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবথেকে অসফল। সোমবার রেড রোডে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির মূর্তিকে মাল্যদান করে এই কথা বলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রাজ্যে অনেকেই লকডাউন মানেননি। তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। পাশাপাশি আমফানের ত্রাণ নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের কাছে তৃণমূল নেতাদের চুড়ির তথ্য ছিল। তাও রাজ্যের পু্লিশও কোন আইনত ব্যাবস্থা নিতে পারেনি। তাই পুলিশ মন্ত্রী হিসেবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ব্যর্থ বলে জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
অন্যদিকে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বলে কিছু নেই। করোনার চিকিৎসা ঠিক মতো হচ্ছে না। চিকিৎসার সরঞ্জাম হাসপাতালে নেই। তাই মাঝেমধ্যেই চিকিৎসা কর্মীরা রাজ্যের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। তাই স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যর্থ। নিজে ব্যর্থ, তাই অন্য ব্যর্থ মন্ত্রীদের সামনে আনছেন না মুখ্যমন্ত্রী।
আমফানের ঝড় চলে গেল। কিন্তুু রাজ্যের বিপর্যয় দফতরের মন্ত্রীর ছবি দেখা যায়নি।পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে রাজ্যের শ্রমমন্ত্রীর কোনও ভাবনাচিন্তা নেই। এইসময়ে তার ছবিও মানুষ দেখতে পারছেন না। আসলে ভোটের সময় ব্যার্থ মন্ত্রীদের সামনে আনতে হবে। তাই মুখ্যমন্ত্রী সব জায়গাতে নিজেই যাচ্ছেন। মানুষ আর ব্যর্থ মন্ত্রীদের দেখতে চাইছে না। শ্যামাপ্রসাদের স্বপ্নের বাংলাতে মানুষ এখন তৃণমূলকে বিদায় দিতে চাইছেন বলে জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
রাজ্য় রাজনীতির সাম্প্রতিক ঘটনাবলী বলছে, কদিন আগেই বিরোধীদের নিয়ে আমফান দুর্নীতি ঠেকাতে একটি কমিটি গড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন,ত্রাণ দুর্নীতি রুখতে এই কমিটি থেকে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। তৃণমূলের কর্মী, নেতারা পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও ত্রাণের টাকা পেয়ে গেছেন। সংবাদপত্রেই সেই ছবি প্রকাশিত হয়েছে। অথচ কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।