সংক্ষিপ্ত
- রাজ্যে একেবারে জঙ্গলরাজ চলছে।
- বিনাশকালে বুদ্ধিনাশ হয়েছে মমতার।
- মুখ্য়মন্ত্রীকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ
- বাক্য়বাণ শানালেন বিজেপির সর্বভারতীয় কার্যকরী সভাপতি
রাজ্যে একেবারে জঙ্গলরাজ চলছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির তথৈবচ অবস্থা। বিনাশকালে বুদ্ধিনাশ হয়েছে মমতার। তাই গণতন্ত্রের শ্বাসরোধ করা হচ্ছে। রাজ্যে এসে মুখ্য়মন্ত্রীকে এমনই চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় কার্যকরী সভাপতি জেপি নাড্ডা।
শনিবার মহালয় উপলক্ষ্য়ে বাগবাজারে তর্পণ কর্মসূচি পালন করে বিজেপি। উপস্থিত ছিলেন দলের কার্যকরী সভাপতি জেপি নাড্ডা। এদিন শুরুতেই বিজেপির অফিস থেকে বাগবাজার ঘাটে প্রতীকী অস্থিকলস নিয়ে শুরু হয় যাত্রা। দলের নিহত কর্মীদের পরিবারও অংশ নিয়েছিল এই প্রতীকী যাত্রায়। বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে রাজ্যে ৮০ জন নিহতের পরিবার অংশ নেবে এই প্রতীকী যাত্রায়। জেলায় জেলায় প্রতীকী অস্থিকলস নিয়ে হবে এই যাত্রা। কলকাতায় বাগবাজার থেকে যার সূত্রপাত হল।
তর্পণ কর্মসূচি শেষে এদিন নাড্ডা বলেন,পশ্চিমবঙ্গে জঙ্গলরাজ চলছে। কোনও আইনশৃঙ্খলাই এখানে নেই। রক্ষকই এখানে ভক্ষক হয়ে উঠেছে। প্রজাতন্তের গলা টিপে শেষ করে দেওয়া হচ্ছে।" এই বলেই থেমে থাকেননি বিজেপির কার্যকরী সভাপতি। তিনি বলেন, রাজ্যে ন্যায় নেই, পুলিস এখানে নীরব দর্শক। মৃত দলীয় কর্মীদের পরিবারের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। তাঁরা আমায় বলেছে, এখনও কোনও অভিযোগই নেয়নি পুলিস। দোষীরা ঘুরে বেরাচ্ছে বহাল তবিয়তে।
দিল্লিতে দিদি-মোদী সাক্ষাৎ রাজ্য রাজনীতিতে তৃণমূল-বিজেপি সাংঘাত কিছুটা হলেও কমাবে বলে আশা করেছিল রাজনৈতিক মহল। কিন্তু নাড্ডার বাক্যবাণ বুঝিয়ে দিল বাংলায় ২০২১ ই টার্গেট তাঁদের। কোনওভাবেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর নরম করবে না তাঁরা। এদিন দলের নিহত কর্মীদের উদ্দেশ্যে বাগবাজার ঘাটে নেমে তর্পণ করেন জগৎপ্রকাশ নাড্ডা। সঙ্গে ছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়,লকেট চ্যাটার্জি সহ অন্যান্য বিজেপির নেতা। গতকালই দিল্লি থেকে কলকাতায় আসেন নাড্ডা। ২০১৮ সালে পুরুলিয়ায় রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় ৬ বিজেপির কর্মীর। ভোট পরবর্তী সময়ে সন্দেশখালি,হুগলিতে বিজেপি কর্মী মৃত্যুর পিছনে শাসক দলের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন পরিবারের সদস্যরা। খোদ বিজেপির রাজ্য সভাপতি বহুবার বলেছেন,রাজ্যে কোনও গণতন্ত্র নেই। সেকারণে বার বার তৃণমূলের হাতে তাঁদের কর্মীদের মৃত্যু হচ্ছে।