সংক্ষিপ্ত
মন খারাপের বিষাদমেলায় রূপ ভরসা এবার ভারত মাতাই। সঙ্কটকালীন পরিস্থিতি থেকে তাঁকে উদ্ধারের জন্য এবার সরাসরি তাই ভারতমাতার উদ্দেশ্যেই লিখে ফেললেন চিঠি। সেই চিঠি পোস্টও করলেন সোশ্যাল মিডিয়া।
কিছুদিন হল দলের সঙ্গে সম্পর্কটা ভালো যাচ্ছে রূপা গাঙ্গুলীর। এমনকী বহিষ্কারের আশঙ্কায় কয়েকদিন আগেই করেছিলেন ফেসবুক পোস্ট। যা নিয়ে বিস্তর চর্চাও হয় রাজনৈতিক মহলে। মন খারাপের বিষাদমেলায় রূপ ভরসা এবার ভারত মাতাই। সঙ্কটকালীন পরিস্থিতি থেকে তাঁকে উদ্ধারের জন্য এবার সরাসরি তাই ভারতমাতার উদ্দেশ্যেই লিখে ফেললেন চিঠি। সেই চিঠি পোস্টও করলেন সোশ্যাল মিডিয়া। তা নিয়েই বর্তমানে জোর চর্চা শুরু হয়েছে নেটপাড়া। রূপার কাণ্ড কারখানা দেখে মুখ টিপে হাসছেন অনেক রাজনৈতিক নেতারাই। বর্তমানে বিজেপি নেত্রী রূপা গাঙ্গুলী(BJP leader Rupa Ganguly) রাজ্যসভার সাংসদ(Member of Rajya Sabha)। একই সাথে ভারতীয় জনতা পার্টির মহিলা মোর্চায়(Women's Front of Bharatiya Janata Party) এক সময় রাজ্য সভানেত্রীর দায়িত্বও সামলেছেন তিনি। এবার সেই রূপা এবার পড়েছে বেকায়দায়।
তবে এই ক্ষেত্রে মনে রাখা ভালো দলে থেকেও বারেবারেই বিদ্রোহী রাস্তাই ধরতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। দলের সাংগঠনিক স্তর বিন্যাস, ক্ষমতার আস্ফালন, দুর্নীতি নিয়ে প্রকাশ্যেই খুলেছেন মুখ। যা নিয়ে কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছেন দলের অন্দরেই। এবারেও পুরভোটের সময় বিজেপি নিয়ে একাধিক বিস্ফোরক মন্তব্য করতে দেখা যায় এই গেরুয়া নেত্রীকে। আর তারপর থেকেই দলের সঙ্গে সম্পর্কটা যেন আরও তিক্ত হয়ে উঠেছে। এমতাবস্থায় ৫০ পয়সার পোস্টকার্ডে ভারতমাতার উদ্দেশ্যে রূপা লিখলেন, “মা, এই ক’টা বছর বড় ঝামেলায় কাটল সকলের। সবাইকে বিপদমুক্ত কর। নতুন বছর যেন সবার ভাল কাটে। একটু দেখো প্লিজ। মা, আমার প্রণাম নিও। তোমার স্নেহের রূপা। পুনশ্চ। ও! ভুলেই গেছি বলতে, আজ ৩১ ডিসেম্বর আয়করের টাকা দেওয়া হয়ে গিয়েছে। নিশ্চিন্ত।”
আরও পড়ুন-নতুন বছরে কী রাজনীতির ময়দানে নামছেন স্বস্তিকা, কী বলছেন টলিউডের আগুন ঝরানো লাস্যময়ী
এই চিঠি নিয়েই বর্তমানে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তবে রূপার দাবি, ‘‘ভারতীয় ডাক বিভাগকে(Indian Postal Department) যে ভাবে মোদীজি(Narendra Modi) নতুন চেহারা দিয়েছেন তাতে আমি খুব খুশি। তাই বছরের এই দিনটায় পোস্টকার্ডকে বেছেছি লেখার জন্য। ফেসবুকের দেওয়ালে না লিখে পোস্ট করেছি পোস্টকার্ড।” এদিকে কলকাতা পুরসভা নির্বাচনের(Kolkata Municipal Election) পর থেকেই রাজনীতির ময়দানে ফের নতুন করে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছেন রূপা। কলকাতা পুরসভা নির্বাচনের তারকা প্রচারকদের তালিকা থেকে বাদ পড়েছিলেন তিনি। যা নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভও উগড়ে দিতে দেখা যায় তাঁকে। এমনকী সমস্যা চালাকালীন সময়ে সুকান্ত মজুমদার–দিলীপ ঘোষদের উপস্থিতিতেই দলের ভার্চুয়াল বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যেতে দেখা যায় তাঁকে। যা নিয়েও চলে রাজনৈতিক চাপানউতর।