সংক্ষিপ্ত
- মনীশ শুক্লা খুনে সিবিআই তদন্তের দাবি
- ফের রাজ্যপালের দ্বারস্থ বিজেপি নেতৃত্ব
- রাজভবনে দলের প্রতিনিধি দলের সদস্য়রা
- সিআইডি-এর জালে তিন অভিযুক্ত
'এফআইআরে যাদের নাম আছে, তাদেরও ডাকা হচ্ছে না।' মণীশ শুক্লা খুনে সিবিআই তদন্তের দাবিতে ফের রাজ্যপাল জগদীপ ধানখড়ের দ্বারস্থ বিজেপি। রবিবার রাজভবনে যান দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়, বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত ও জয়প্রকাশ মজুমদার। রাজ্যপালের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা হয় তাঁদের।
আরও পড়ুন: প্রোমোটারদের থাবায় সৌরভ গাঙ্গোপাধ্যায়ের প্র্যাকটিসের মাঠ, বিক্ষোভ প্রাতঃভ্রমণকারীদের
ফিল্মি কায়দায় টিটাগড় থানার সামনে গুলি করে খুন। মণীশ শুক্লা হত্যাকাণ্ড নিয়ে কয়েক দিন ধরেই রীতিমতো তোলপাড় চলেছে রাজ্যে। বিজেপির অভিযোগ, দলের নেতাকে পরিকল্পনামাফিক খুন করেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বস্তুত, ময়নাতদন্তে পরেই দেহ নিয়ে হাসপাতাল থেকে সটান রাজভবনের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন গেরুয়াশিবিরের নেতা-কর্মীরা। পথে বারবার যানজটে আটকে যায় শববাহী গাড়িটি। এমনকী, নিউ মার্কেট থানা এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিজেপি নেতা-কর্মীদের একপ্রস্ত বচসাও হয়। শেষপর্যন্ত বিজেপি-এর তরফে চারজন প্রতিনিধিকে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেয় পুলিশ। সেবার জগদীপ ধানখড়ের সঙ্গে দেখা করে রাজ্যের আইন শৃ্ঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মনীশ শুক্লার বাবা ও বিজেপি নেতারা। ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবিও তোলেন তাঁরা। রবিরার ফের রাজভবনে গিয়ে একই দাবি জানালেন মুকুল রায়, সব্যসাচী দত্তেরা।
লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন মণীশ শুক্লা। কারা খুন করল তাঁকে? তদন্তে নেমেছ এখনও পর্যন্ত তিনজনকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা নয়, পুরানো শক্রতার কারণে খুন করা হয়েছে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে 'বাহুবলী' নেতাকে।