সংক্ষিপ্ত

বিধানসভার গেটের বাইরে ঘুগনি, চা, ঝালমুড়ির দোকান দিলেন বিজেপি বিধায়করা। পথচলতি মানুষদের ডেকে খাওয়ালেন নিজেদের হাতে তৈরি ঘুগনি, সঙ্গে বিলি করলেন মুড়ি। “ভারতের প্রধানমন্ত্রীও চা বিক্রেতা ছিলেন’’, বললেন তৃণমূলের মুখপাত্র তাপস রায়।

‘‌আমার খোকা লুটবে বঙ্গ, করবে দেদার চুরি। তোমার খোকা বেচবে পূজায় ঘুগনি-ঝালমুড়ি।’‌ কালো প্ল্যাকার্ডে কটাক্ষ লিখে গলায় ঝুলিয়ে বিধানসভার বাইরে দাঁড়ালেন ঘুগনি বিক্রেতারা। আসলে তাঁরা প্রত্যেকেই বঙ্গ বিজেপির সক্রিয় নেতাকর্মী। দিনকয়েক আগে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চা,ঘুগনি বিক্রির পরামর্শকে শিরোধার্য করে অভিনব প্রতিবাদে নামল বঙ্গের প্রধান বিরোধী দল। 

রাজ্যে বেকার সমস্যা দূরীকরণে কয়েক দিন আগেই খড়্গপুরের একটি সভামঞ্চ থেকে যুবসমাজকে চা, চপ, মুড়ি, ঘুগনি বিক্রির পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর এই পরামর্শকে কটাক্ষ করে প্রভূত সমালোচনার ঝড় তুলেছে রাজ্যের সমস্ত বিরোধী দল। কিন্তু, এবার সেই সমালোচনাকে বাস্তবিক প্রতিবাদ হিসেবে করে দেখালেন বিজেপি নেতা ও কর্মীরা। বিধানসভার গেটের বাইরে ঘুগনি, চা, ঝালমুড়ির দোকান দিলেন বিধায়করা। পথচলতি মানুষদের ডেকে খাওয়ালেন নিজেদের হাতে তৈরি ঘুগনি, সঙ্গে বিলি করলেন মুড়ি। শাসক দলের বিরুদ্ধে তাঁদের কটাক্ষ, প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও রাজ্যে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

২২ সেপ্টেম্বর চা, মুড়ি, ঘুগনি বিক্রি করে প্রতিবাদে দেখা যায় চাকদহের বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ, বালুরঘাটের বিধায়ক অশোক লাহিড়ী, মাদারিহাটের বিধায়ক মনোজ টিগ্গা, শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ সহ একাধিক বিজেপি বিধায়ককে। চাকদহের বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার থেকে মুখ্যমন্ত্রী পুজোর উদ্বোধন শুরু করে দিয়েছেন। তাই আমরা তাঁর নির্দেশ মেনে ঘুগনি-মুড়ি বিক্রি শুরু করলাম। কারণ, মুখ্যমন্ত্রী বিকল্প কর্মসংস্থানের বন্দোবস্ত করতে না পেরে অন্য পরামর্শ দিয়েছেন। আমরা তাঁর বলে দেওয়া পথই ধরলাম।’’ 

আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, ‘‘অনেক কষ্ট করে মা-বাবা আমাদের পড়াশোনা শেখান, যাতে আমরা বড় হয়ে তাঁদের মুখ উজ্জ্বল করতে পারি, প্রতিষ্ঠিত হতে পারি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী যুব সমাজকে কর্মসংস্থানের দিশা দেখাতে পারেননি। তাই আমরা ঘুগনি-মুড়ির দোকান দিয়েছি।’’ কুমারগ্রামের বিধায়ক মনোজ ওঁরাও কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘এই স্টল দিয়ে এখনই কোটি কোটি টাকা উপার্জন করলাম।’’

অপরদিকে বিজেপির এই কর্মসূচির তীব্র নিন্দা করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের মুখপাত্র তথা বিধায়ক তাপস রায় বলেন, ‘বিক্রেতা, তিনি যা-ই বিক্রি করুন না কেন, প্রতিটি পেশার একটা সম্মান রয়েছে। এগুলি করে ওঁরা এই ঝালমুড়ি, চা বিক্রির পেশার সঙ্গে যুক্ত বিক্রেতাদের অপমান করছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রীও চা বিক্রেতা ছিলেন।’’

আরও পড়ুন-
উদ্বোধন হয়ে গেল শ্রীভূমি, এফডি ব্লক ও টালা প্রত্যয়ের পুজোর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে শুরু হল পুজো পরিক্রমা
রাজনৈতিক স্বার্থে স্বাধীনতার ইতিহাস বদল করা হচ্ছে: নাম না করে কেন্দ্র সরকারকেই দুষলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী?
এলন মাস্কের পরেই গৌতম আদানি, বিশ্বের দ্বিতীয় ধনীতম ব্যক্তি একদিনে রোজগার করেছেন ১৬১২ কোটি টাকা