সংক্ষিপ্ত
বউবাজার মেট্রো প্রকল্পের ফাঁটলের জেরে ইতিমধ্যেই ক্ষোভে ফুঁসছে ঘরছাড়াবাসিন্দারা। বউবাজারকাণ্ডে বাস্তুহারাবাসিন্দাদের কাছে ক্ষমা চাইল কেএমআরসিএল। যথাযথ পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করেই কেন বাড়ি ভাঙার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
বউবাজারকাণ্ডে বাস্তুহারাবাসিন্দাদের কাছে ক্ষমা চাইল কেএমআরসিএল। বউবাজার মেট্রো প্রকল্পের ফাঁটলের জেরে ইতিমধ্যেই ক্ষোভে ফুঁসছে ঘরছাড়াবাসিন্দারা। তার উপর আরও বাড়ি ভাঙা হবে শুনে মেজাজ হারিয়েছে অনেকেই। চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে ঘুম উড়েছে বউবাজারের দুর্গাপিতুরি লেনের বাসিন্দাদের। কটা বাড়ি ভাঙা হবে, আদৌ বাড়ি ভাঙা হলে ক্ষতিগ্রস্তদের যাবতীয় জিনিস কোথায় যাবে, তা নিয়ে চরম অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। যথাযথ পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করেই কেন বাড়ি ভাঙার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। আপাতত দুটি বাড়ি ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কেএমআরসিএল কর্তৃপক্ষ।
জানি গিয়েছে, রবিবার থেকেই ভাঙা হতে পারে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি। বউবাজারের দুর্গাপিতুরি লেনের বাকি বাড়িগুলির বিষয়ে কলকাতা পুরসভার সঙ্গে কথা হলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। দুর্গাপিতুরি লেনে প্রথম দফায় দুটি বাড়ি ভাঙা হবে বলে জানা গিয়েছে। ১৬ এবং ১৬ নং এ এই দুটি বাড়ি ভাঙা হবে বলে জানা গিয়েছে। বাড়িতে লোহার বিম দিয়ে সাপোর্ট দেওয়া হবে। সকাল থেকেই বাড়ির সামনে ভিড় জমিয়েছেন মালিকরা।মাথার উপরের ছাদটাই যে হারিয়ে যাচ্ছে। এতদিনের সব সহায়, সম্ভল হারিয়ে যেতে বসেছে। কটা বাড়ি ভাঙা হবে, আদৌ বাড়ি ভাঙা হলে ক্ষতিগ্রস্তদের যাবতীয় জিনিস কোথায় যাবে, এসব নিয়ে ঘুম উড়েছে সবার। পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করেই কেন বাড়ি ভাঙার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, দায়িত্ব নেবে কি তবে কেমএমআরসিএল, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। রবিবার সকালে এনিয়ে কেমএমআরসিএল-র প্রতিনিধিদের সঙ্গে বাদানুবাদ শুরু হয় বাড়ির মালিকদের।
প্রসঙ্গত, মেট্রো প্রকল্পের জেরে বুধবার সন্ধ্যার পর থেকেই বউবাজারে একাধিক বাড়ি-রাস্তায় ফাঁটল দেখা যায়। মেট্রোর কাজ চলাকালীন বউবাজারের দুর্গাপিতুরি লেনের ৮ থেকে ১০ টি বাড়িতে ফাঁটল দেখা গিয়েছে। রাত যত বেড়েছে, বাড়ির ফাঁটল তত চওড়া হয়েছে।মেট্রো রেলের যেখান দিয়ে টানেল বোরিং মেশিন তোলা হয়েছিল, সেখানে কংক্রিট করার কাজ চলছে। কিন্তু তা সত্ত্বও কোনও কারণে মাটির নীচ থেকে জল উঠে আসে। ওই জায়গায় কংক্রিট দিয়ে ভরাট করা হলেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ৩০ থেকে ৩৫টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত।সুরঙ্গের ছিদ্র দিয়ে বেরিয়ে আসছে অবিরাম জল, রাতভোর বোজানোর চেষ্টা করা হয়েছে। টানা কাজ করার পর সেই ছিদ্র বোজানো সম্ভব করেন কেএমআরসিল-র কর্মীরা। শুক্রবার মেট্রোর সঙ্গে চলে কলকাতা পুরসভার বৈঠক। এরপরেই সিদ্ধান্ত নেওযা হয় কেমএমআরসিএল-র তরফে।
আরও পড়ুন, বড়সড় সুখবর, সময়ের আগেই আসছে বর্ষা, আজ থেকেই তেড়েফুঁড়ে বৃষ্টি বঙ্গে