সংক্ষিপ্ত
- বধু নির্যাতনের মামলায় নজিরবিহীন নির্দেশ হাইকোর্টের
- আদালতের নির্দেশ মানছেন না তদন্তকারী অফিসার
- খোদ কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে তলব আদালতের
- শেষপর্যন্ত নির্দেশ প্রত্যাহার বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চের
গৃহবধূর গয়না কোথায়? বারবার জানতে চেয়েও তদন্তকারী অফিসারের কাছ কোনও উত্তর মেলেনি। শেষপর্যন্ত খোদ কলকাতা পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মাকেই আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ। পরে অবশ্য সরকারি আইনজীবীর অনুরোধে সেই নির্দেশ প্রত্যাহারও করে নেয় আদালত।
বছর তিনেক আগে ভালোবেসে বিয়ে করেন তন্ময় দানা ও অপর্ণা জানা নামে এক দম্পতি। কিন্তু তাঁদের দাম্পত্য জীবন সুখের হয়নি। জানা গিয়েছে, গত ২৩ জুলাই উল্টোডাঙায় থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেন অপর্ণা। গ্রেফতারি এড়াতে কলকাতা হাইকোর্টে আগাম জামিন চেয়ে মামলা করেন তন্ময় ও পরিবারের লোকেরা। আদালতে শুনানিতে অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবী দাবি করেন, বিয়ের সময় তন্ময় শ্বশুরবাড়ি থেকে কিছুই নেননি। আর স্ত্রীর গয়না যদি থেকেও থাকে, তাহলে বাড়ি থেকে তা উদ্ধার করে আনার জন্য তদন্তকারী অফিসারকে অনুরোধ করেছিলেন তিনি। কিন্তু তদন্তকারী অফিসার যাননি। তদন্তকারী অফিসারের কাছে মামলার অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্ট তলব করে আদালত। আদৌও কোনও গয়না আছে কিনা, তাও জানতে চাওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, ডিভিশন বেঞ্চ দু'বার নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও আদালতের রিপোর্ট জমা দেননি মামলার তদন্তকারী অফিসার। বৃহস্পতিবার খোদ কলকাতা পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মাকেই আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেয় বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চ। রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। শেষপর্যন্ত বেলা দুটো নাগাদ হাইকোর্টে হাজির হয়ে নিজের হাতে লেখা রিপোর্ট জমা দেন মামলার তদন্তকারী অফিসার। তদন্তকারী অফিসার তরফে ভুল স্বীকার করে আদালতের কাছে পুলিশ কমিশনারকে হাজিরার নির্দেশ বাতিল করার আবেদন জানান সরকারি আইনজীবী। নির্দেশ প্রত্যাহারও করেন নেয় বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ। তবে মামলার তদন্তকারী অফিসার আগামী সপ্তাহে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।