সংক্ষিপ্ত

 

  • ২০১৭ সালে কলকাতায় এসেছিল 'মৃত' অমৃতাভ চৌধুরী 
  • সাত বছর তিনি কোথায় ছিলেন, সঠিক উত্তর পায়নি সিবিআই 
  •  বয়ানে অসঙ্গতি থাকায় আটক করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা 
  • তারপরেই  অমৃতাভ ইস্যুতে উঠে এল একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য 


জ্ঞানেশ্বরী রেল দুর্ঘটনা কাণ্ডে অমৃতাভ ইস্যুতে নয়া মোড়। জানা গিয়েছে, জ্ঞানেশ্বরী রেল দুর্ঘটনা কাণ্ডে মৃত সেজে সরকারের থেকে ক্ষতিপূরণ নেওয়া শুধু তাই নয়, নিজের বোনের চাকরিও হাতিয়ে ছিল জোড়াবাগান এলাকার বাসিন্দা অমৃতাভ চৌধুরী ওরফে সাগর চৌধুরী। গত কয়েকদিন ধরেই চাঞ্চল্যকর মোড় উঠে এসেছে   সিবিআই এর তদন্তে।  ইতিমধ্যেই তাঁকে আটক করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

আরও পড়ুন, হানকে বলা যাবে না 'গুপ্তচর', ভিয়েনা কনভেনশন মেনে চলতে হবে, সাফ জানাল চিন 

 

 

জানা গিয়েছে,  ২০১০ সালে জ্ঞানেশ্বরী রেল দুর্ঘটনার পর ২০১৭ সালে কলকাতায় এসেছিল রেল দুর্ঘটনায় মৃত অমৃতাভ চৌধুরী। এই সাত বছর তিনি কোথায় ছিলেন, সঠিক উত্তর পায়নি সিবিআই। বয়ানে অসঙ্গতি থাকায় ইতিমধ্যেই তাঁকে আটক করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।তারপরেই  অমৃতাভ ইস্যুতে উঠে এল একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য । জ্ঞানেশ্বরী রেল দুর্ঘটনা কাণ্ডে মৃত সেজে সরকারের থেকে ক্ষতিপূরণ নেওয়া শুধু তাই নয়, নিজের বোনের চাকরিও হাতিয়ে ছিল জোড়াবাগান এলাকার বাসিন্দা অমৃতাভ চৌধুরী ওরফে সাগর চৌধুরী। গত কয়েকদিন ধরেই চাঞ্চল্যকর মোড় উঠে এসেছে   সিবিআই এর তদন্তে। আর এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আনার পরই গ্রেপ্তার হয়েছে অমৃতাভ। এর পরই এবার সামনে এল মন্তেশ্বরের তাঁর পৈতৃক ভিটের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ গত কয়েক বছর ধরে। খাতায় কলমে নিজেকে মৃত দেখিয়ে মন্তেশ্বরের বামুনপাড়া এলাকায় তার পৈতৃক ভিটেয় অবাধ আনাগোনা ছিল অমৃতাভ চৌধুরী। শুধু তাই নয় মন্তেশ্বরের কমারশাল এলাকায়  প্রোমোটিংয়ের ব্যবসাও ফেঁদে বসেছিল অমৃতাভ। নিজের বানানো চারতলা আবাসনের নিচের তলায় তিনটি দোকানকে চড়া দামে স্থানীয় তিন ব্যবসায়ীকে  বিক্রি করেছে সে ও তার বাবা। 

 

 

আরও পড়ুন, উত্তরবঙ্গ ভেঙে পৃথক রাজ্যের দাবি, 'ষড়যন্ত্র'-র অভিযোগে BJP সাংসদের বিরুদ্ধে FIR  

 ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন হঠাৎ মৃত ব্যক্তি অমিতাভকে দেখে প্রথমে তাঁরা হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলেন। পরে এটাও তাঁরা ভেবেছিলেন  কোনেওভাবে হয়তো বেঁচে গেছেন অমৃতাভ। তাঁর মায়ের কোলে ফিরে গেছে সে। এই ভেবে আনন্দিত হয়ে  হয়ে ছিলেন অনেক বাসিন্দারাই। তার পিছনে যে এত বড় প্রতারণা রহস্য লুকিয়ে রয়েছে তা বুঝেই উঠতে পারেননি মন্তেশ্বর এলাকার বাসিন্দারা।