সংক্ষিপ্ত

বহাল তবিয়তে জনসমক্ষেই দেখা গেল  প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি এবং রাজ্যের বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে। মঙ্গলবার বিধানসভায় একটি স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে যোগ দিয়েছেন তিনি। এমনকী এদিন সাংবাদিকদেরও মুখোমুখি হন মানিক ভট্টাচার্য। 
 

টেট দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্রীয় আর্থিক নিয়ামক সংস্থা ইডির নজরে ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি এবং রাজ্যের বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। তবে বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁর কোনও খোঁজ মিলছিল না বলে অভিযোগ জানিয়েছিলেন ইডি। একাধিকবার তলব করা সত্ত্বেও তাঁর তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি বলেও জানানো হয়েছিল। তার রিরুদ্ধে দিন কয়েক আগেই জারি করা হয়েছিল লুক আউট নোটিশও। তবে মঙ্গল একেবারে উলটো ছবি দেখা গেল বিধানসভা চত্ত্বরে। বহাল তবিয়তে জনসমক্ষেই দেখা গেল  প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি এবং রাজ্যের বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে। মঙ্গলবার বিধানসভায় একটি স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে যোগ দিয়েছেন তিনি। এমনকী এদিন সাংবাদিকদেরও মুখোমুখি হন মানিক ভট্টাচার্য। 
মানিক ভট্টাচার্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান হওয়ার পাশাপাশি নদিয়ার পলাশীপাড়ার বিধায়কও বটে। তাছাড়া বিধানসভায় উচ্চশিক্ষা বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সদস্য তিনি। তাই মঙ্গলবার বিধানসভায় উচ্চশিক্ষা সংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটির একটি মিটিং-এ যোগ দিতে বিধানসভায় আসেন তিনি। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয় মানিক জানান, "২০১১ সালে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি হয়েছিলাম, সেই সময় আমাকে কিছু নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল। পরে সেই পদ থেকে সরে এলে খুব স্বাভাবিক ভাবেই সেই নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয়।" লুকআউট নোটিশ প্রসঙ্গে মন্তব্য না করলেও তিনি জানান,"গত রবিবারও সারাদিন আমার বিধানসভা কেন্দ্রের মানুষের জন্য বিধায়ক হিসেবে আমার যা যা করণীয় আমি সবই করেছি।" বিধায়ক হিসেবে তিনি যথেষ্ট নিরাত্তা পাচ্ছেন কি না জানতে চাওয়া তাঁর স্পষ্ট জবাব,"সেই বিষয়টা আমার উপর ছেড়ে দিন। নিরাপত্তার অভাব বোধ করলে আমি অবশ্যই জানাব।

আরও পড়ুন২০১১ সালের নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য জানতে চেয়ে পর্ষদকে চিঠি ইডির, জরুরি ভিত্তিতে তথ্য পাঠানোর নির্দেশ রাজ্যকে 

প্রসঙ্গত,প্রাথমিকের স্কুলশিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে আগেই মানিককে পর্ষদের সভাপতি পদ থেকে অপসারনের নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ। 
পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি যাতে কোনও মতেই দেশ না ছাড়তে পারেন, তা নিশ্চিত করতে দেশের সমস্ত বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরগুলিতে এই লুকআউট নোটিস পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন ইডির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য জানালেন যাদবপুরের বাড়িতেই রয়েছেন তিনি