সংক্ষিপ্ত
- জেনারেটর বসিয়ে ছোট পাম্পিং স্টেশন চালু করার চেষ্টা চলছে
- জানানো হয়েছে, মঙ্গলবারের মধ্যেই পরিষেবা স্বাভাবিক হয়ে যাবে
- সিইএসসি-র ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রীও
- মানুষের এই দুর্ভোগের জন্য ক্ষমাও চেয়েছে সিইএসসি কর্তৃপক্ষ
ঘূর্ণিঝড় আমফান জেরে বিপর্যস্ত বাংলা। তিন দিন পার হয়ে চার দিনে পা দিলেও এখনও কলকাতা এবং শহরতলির বিদ্যুৎ পরিষেবা পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি৷ সিইএসসি-র বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষ৷ সিইএসসি-র ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ চাপের মুখে পড়ে এবার বক্তব্য় জানিয়েছে সিইএসসি কর্তৃপক্ষ৷
আরও পড়ুন, ঘূর্ণীঝড় আমফানের থাবা শহরের ৩০০টি রেশন ঘরে, ক্ষতিগ্রস্থ ৯০ কোটির খাদ্য়সামগ্রী
সিইএসসি-র তরফে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে, যে সমস্ত এলাকায় তাদের ওভারহেড বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে, সেখানেই এখনও পরিষেবা স্বাভাবিক করা যায়নি৷ মূল কলকাতার বাইরে বৃহত্তর কলকাতার বিভিন্ন এলাকাতেই এখনও সমস্যা রয়েছে বলে সংস্থার তরফে স্বীকার করা হয়েছে৷ মানুষের এই দুর্ভোগের জন্য ক্ষমাও চেয়েছে সিইএসসি কর্তৃপক্ষ৷ সংস্থার তরফে এ দিন জানানো হয়েছে, মঙ্গলবারের মধ্যেই সর্বত্র পরিষেবা স্বাভাবিক হয়ে যাবে৷
আরও পড়ুন, ২৬ মে পর্যন্ত শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেন বন্ধ থাক, রেলের কাছে আর্জি জানাল রাজ্য
সিইএসসি-র বিদ্যুৎ বণ্টন বিভাগের প্রধান অভিজিৎ ঘোষ জানান, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সংস্থার পরিকাঠামোর ভয়ানক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে৷ প্রবল ঝড়ের ফলে গাছের ডাল ভেঙে বা গাছ উপড়ে অনেক জায়গাতেই বাতি স্তম্ভ উপড়ে গিয়েছে বা তার ছিঁড়ে গিয়েছে৷ সংস্থার দাবি, মূল কলকাতায় যেহেতু ভূগর্ভস্থ লাইন দিয়েই বিদ্যুৎ পরিষেবা দেওয়া হয়, তাই সেখানে বিদ্যুৎ পরিষেবা সেভাবে ব্য়হত হয়নি৷ কিন্তু টালিগঞ্জ, গড়িয়া, বেহালা, দমদম, লেক টাউন, যশোর রোডের মতো বৃহত্তর কলকাতায় পরিষেবা এখনও স্বাভাবিক করা সম্ভব হয়নি৷ উল্লেখ্য়, সিইএসসি-র তরফে জানানো হয়েছে, বেশ কিছু এলাকায় জেনারেটর বসিয়ে ছোট পাম্পিং স্টেশন চালু করার চেষ্টা চলছে৷ শহরের কিছু আবাসনের তালিকা তৈরি করে সেখানেও জেনারেটর পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে৷
আরও পড়ুন, বিদ্য়ুৎহীন অবস্থায় ৪ দিনে পা রাখল বাংলা, ধৈর্য্য ধরার কথা শোনালেন মমতা