সংক্ষিপ্ত

  • ঘূর্ণীঝড় আমফানের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ কলকাতা সহ রাজ্য়  
  • বিদ্য়ুৎহীন অবস্থায় তিন দিনে পা রাখল বাংলা 
  • এই ভয়ানক অবস্থায় ধৈর্য্য ধরার কথা শোনালেন মমতা
  •  জানালেন, বিদ্য়ুৎ কর্মী কম বলে কাজে সময় লাগছে 


ঘূর্ণীঝড় আমফানের তাণ্ডবে ব্য়পক ক্ষতিগ্রস্থ কলকাতা সহ রাজ্য়। বিদ্য়ুৎহীন অবস্থায় তিন দিন পেরিয়ে চার দিনে পা রাখল বাংলা। এই ভয়ানক অবস্থায় সমাধান বলতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য়বাসীকে ধৈর্য্য ধরার কথা শোনালেন।

আরও পড়ুন, ঘূর্ণীঝড়ের তাণ্ডবে বিপর্যস্ত রাজ্যের অধিকাংশ সাবস্টেশন, এখনও বহু জায়গায় ফেরেনি বিদ্যুৎ পরিষেবা

শুক্রবার প্রাধনমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে এলাকা পরিদর্শনের পর শনিবার ফের দক্ষিণ ২৪ পরগণায় যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সেখানে যাওয়ার আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য়বাসীর উদ্দেশ্য়ে বললেন, 'একটু ধৈর্য্য ধরুন।'এদিকে জেলায় জেলায় বিদ্যুতের দাবিতে চলছে বিক্ষোভ। আমফান বিধ্বস্ত এলাকা দেখতে কাকদ্বীপ যাওয়ার আগে তিনি জানান, করোনা সংক্রমণের ভয়ে অনেকেই বাড়ি চলে গিয়েছেন। কর্মী কম, তাই কাজে সময় লাগছে। অপরদিকে আবার শুক্রবার রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রাজ্যের ১ কোটি গ্রাহকের বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই। তবে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে রাজ্য বিদ্যুৎ দফতরের  প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার কর্মীরা কাজ করছেন। 

আরও পড়ুন, ঘূর্ণীঝড় আমফানের থাবা শহরের ৩০০টি রেশন ঘরে, ক্ষতিগ্রস্থ ৯০ কোটির খাদ্য়সামগ্রী

 শনিবার দুপুর নাগাদ আমফানের জেরে তৈরি সমস্যার মোকাবিলার পথ খুঁজতে কাকদ্বীপে মহকুমাশাসকের দপ্তরে প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, 'ত্রাণ নিয়ে যেন কোনও সমস্যা তৈরি না হয়। অর্থের অপচয় করা যাবে না। করোনার ধাক্কায় এমনিতেই প্রাণ ওষ্ঠাগত। তাই রাস্তার আগে গুরুত্ব দিতে হবে ভেঙে পড়া বাড়ির পুনর্গঠনে।'

আরও পড়ুন, আমফানের পর বৃষ্টির জমা জল ভয় বাড়াচ্ছে ডেঙ্গুর, এক ওষুধেই নাশ করোনার জীবাণু সহ মশার লার্ভাও